“ওরা আমার অবস্থা নিয়ে কতটুকুই বা জানে”, সমালোচকদের উদ্দেশ্যে বললেন বিরাট

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে একটাই প্রশ্ন। সেটা হলো, ঠিক কোথায় সমস্যা হচ্ছে বিরাট কোহলির। একটা বিষয় পরিস্কার, সেটা হল যে, কোহলির সমস্যাটা বয়সজনিত সমস্যা নয়। একে তো তিনি ফিটনেসের ব্যাপারে চূড়ান্ত সচেতন, তাছাড়া পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যায় যে বেশিরভাগ উপমহাদেশীয় তারকা ব্যাটারদের ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়স সময়কালটা পরিসংখ্যানগত দিক দিয়ে খারাপ নয় একেবারেই। বরং অদ্ভুত একটা দায়িত্ববোধ এই সময়টায় তাদের মনে থাকে যা তাদের আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে উদ্বুদ্ধ করে।

সমস্যাটা হয়েছে যে ২০১২ থেকে ২০১৯ অবধি কোহলি নিজের কেরিয়ারের যে স্ট্যান্ডার্ড সেট করে ফেলেছেন তাতে বিগত কয়েক বছরে তার সেঞ্চুরিই একমাত্র তার ভালো ফর্মের একমাত্র প্যারামিটার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ২০১৯ পিঙ্ক ডে টেস্টে শতরান করার পরবর্তী সময়ে তাঁর অনেক দুর্দান্ত ইনিংস তিন অংকের ঘরে না পৌঁছনোয় অনেকেই তা ভুলে গিয়েছেন। যদিও চলতি আইপিএলে যে তিনি সত্যি অফফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তা অতি বড় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞও অস্বীকার করবেন না।

সমালোচকদের তুলে আনা পরিসংখ্যানই বলছে ২০২০-২২ সময়কালের মধ্যে কোহলি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ১০ টি টেস্ট ম্যাচ খেলে করেছেন ৫২৫ রান। ২০ টি-র বেশি ওয়ান ডে খেলে ৮০০-এর কাছাকাছি এবং ২৫-এরও বেশি টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে করেছেন ১০০০-এর কাছাকাছি রান। কিন্তু চলতি আইপিএলে ৪০-এর গন্ডি পেরিয়েছেন মাত্র ৩ বার। ১ বার পেরিয়েছেন ৫০-এর গন্ডি। ১২ ম্যাচে করেছেন মাত্র ২১৬ রান। ফলে তার সেঞ্চুরিহীন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রেকর্ডকে ভুলে সকলে তাকে কেবলমাত্র চলতি আইপিএলের ভিত্তিতে সমালোচনা করছেন। এবার সেই সব সমালোচকদের উত্তর দিলেন বিরাট।

বিরাট কোহলি আরসিবির একটি পডকাস্টে কোহলি বলেছেন “যারা সমালোচনা করেছেন, তারা আমি যা অনুভব করছি, সেটা অনুভব করতে পারবেন না। আমি কীভাবে এসব কথাবার্তা থেকে দূরে থাকতে পারি সেই চেষ্টাই করছি। আপনাকে এমন সময়ে টিভি মিউট করে রাখতে হবে অথবা বাইরের আলোচনা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। আমি দুটিই করার চেষ্টা করছি।” কোহলি আরও বলেছেন, “আমার দীর্ঘ কেরিয়ারে আগে কোনওদিন টানা দুই ম্যাচে গোল্ডেন ডাক হয়নি। এখন একজন ক্রিকেটার হিসাবে আমার সবরকম অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছে।”

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর