বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রবাদে আছে “গল্প হলেও সত্যি”। তবে এযেন ঠিক বিপরীত চিত্র। সত্যিই যে এই গল্প কোনো সিনেমার গল্পের থেকে কম কিছু নয় তা বলাই বাহুল্য । চলচ্চিত্রের ভাষায় যাকে বলে “ড্রামাটিক এন্ডিং’।
মাঝ আকাশের বুক চিড়ে উড়ে চলেছে বিমান। গল্পে টুইস্ট আসে, যখন স্বয়ং সারথী তথা পাইলট অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমন সময় অনেকটা মার্ভেল কিংবা ডিসির হিরোর মতন বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছাড়াই একজন যাত্রী এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের সহায়তায় নিরাপদে ফ্লোরিডায় ছোট বিমানটি অবতরণ করেন।
লাইভএটিসি.নেট-এর অডিও অনুসারে, ফোর্ট পিয়ার্সের একজন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার যখন এক যাত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন যে তিনি একক ইঞ্জিন সেসনা ২৮০-এর (Cessna 280) অবস্থান জানেন কিনা? উত্তরে যাত্রী বলেন, “আমার কোন ধারণা নেই। আমি আমার সামনে শুধুমাত্র ফ্লোরিডার উপকূল দেখতে পাচ্ছি ”
ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিমানটিতে পাইলট এবং দুজন যাত্রী ছিলেন। কর্মকর্তারা তাদের কাউকে চিনতে পারেননি।
প্লেনটি ফ্লোরিডার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সাথে সাথে, প্লেনের নিয়ন্ত্রক ক্রিস্টোফার ফ্লোরেস তাকে বলেছিলেন “উইং লেভেল বজায় রাখতে এবং উপকূল অনুসরণ করার চেষ্টা করতে, হয় উত্তর বা দক্ষিণ দিকে।” টুইন কন্ট্রোল একটি সেসনা ২৮০ কে যাত্রীর আসন থেকে চালানোর চেষ্টা করেন ।
কন্ট্রোলাররা বিমানটিকে সনাক্ত করতে পারার কয়েক মিনিট আগে জানা যায় যে, সেটি ততক্ষণে বোকা রাটন শহরের উপর দিয়ে উত্তর দিকে যাচ্ছিল।
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার রবার্ট মরগান, একজন ২০-বছর-বয়সী দক্ষ কর্মকর্তা সেই মুহুর্তে দায়িত্ব নেন এবং যাত্রীকে নিরাপদ অবতরণে নামানোর কথা বলেন। মরগান একজন প্রত্যয়িত ফ্লাইট প্রশিক্ষক যার অভিজ্ঞতা সেসনা বিমান চালনার। বিমান অবতরণের পর উদ্ধারকর্মীরা মূল পাইলটকে সহায়তা করেছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যাত্রীদের কেউই আহত হননি। কর্মকর্তারা যদিও তাৎক্ষণিকভাবে পাইলট অসুস্থ হওয়ার কারণ জানাননি।
মরগান বলেছিলেন যে তিনি কেবল নিজের কাজ করছেন, তবে তিনি যা ভেবেছিলেন তার ধারণার বাইরে গিয়ে তাকে কাজটি করতে হয়। “আমরা কখনো এমন কিছুর প্রত্যাশা করি নি,” মরগান বলেছিলেন, “আমার মনে হয়েছিল আমি একটি চলচ্চিত্রের অংশ।”
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…