বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে মোট জেলার সংখ্যা 23। তবে এই সংখ্যাটি বেড়ে কি দ্বিগুণ তথা 46 হতে চলেছে? এদিন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী এমন এক মন্তব্য করে বসেন, যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
এদিন টাউন হলে পরপর দুটি অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে উপস্থিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি টাউন হলকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এদিন সেই প্রসঙ্গে প্রথমে টাউন হলের উদ্বোধনী এবং পরবর্তীতে ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সেই বার্ষিক সাধারণ সভায় বাংলার জেলার সংখ্যা বাড়ানো প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমরা বাংলায় সার্বিক ভাবে উন্নয়ন করতে চাই আর সেই কারণেই আমার মনে হয় এখানে জেলার সংখ্যা বাড়ানোর দরকার রয়েছে। আমাদের ইচ্ছা রয়েছে ভবিষ্যতে বাংলায় জেলা সংখ্যা 23 থেকে বাড়িয়ে 46 টি করে তোলা। কিন্তু আমাদের যে পরিমাণ আধিকারিকের প্রয়োজন, তা বর্তমানে নেই। সেই কারণেই এই উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।” তাঁর এই মন্তব্যের পরই শুরু হয়ে যায় জল্পনা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আইএএস এবং ডব্লিউবিসিএস আধিকারিকদের মধ্যে ভাতা সংক্রান্ত একটি বিভেদ রয়েছে। জেলাশাসক কিংবা অ্যাডিশনাল জেলাশাসক পদে থাকলে আইএএসরা যে পরিমাণ ভাতা পাচ্ছেন, তার তুলনায় অনেকাংশে কম পান আপনারা।” এদিন সভায় উপস্থিত আধিকারিকদের আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এবার থেকে আপনারা সকলে সমান ভাতা পাবেন। আমরা কোন রকম বিভেদ তৈরি হতে দেবো না। “
বেতন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে এদিন মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, “বেতন একবার উর্ধ্বসীমায় পৌঁছে গেলে সেই বেতনের পরিমাণ আর বাড়তে চায় না। এই ক্ষেত্রে আমরা অনেক ভাবনা চিন্তা করার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এই সকল আধিকারিকদের আমরা মাসে 10000 টাকা করে অ্যালাওয়েন্স দেব।”
এছাড়াও অনুষ্ঠানে 100 দিনের কাজ প্রসঙ্গে কেন্দ্র সরকারকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, “বর্তমানে 100 দিনের কাজ করানো হলেও ঠিকমতো টাকা পাঠাচ্ছে না কেন্দ্র সরকার। এমনকি আমাদের টাকাতেও নজর দেওয়া হচ্ছে, এটা চলতে পারে না।”