বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রামায়ণে যেমন সরঙ্গ থেকে নির্গত শক্তিশেল করতো অব্যর্থ লক্ষ্যভেদ তেমনি ভারতের সামরিক বাহিনীর অহংকার “ব্রহ্মস”। বৃহস্পতিবার শুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান থেকে সাফল্যের সাথে প্রথমবারের জন্য লঞ্চ করা হয় ব্রহ্মসের এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ ভার্সন। প্রথমবারেই অব্যর্থ লক্ষ্যভেদ করে বিধ্বংসী এই মিসাইল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরের যেখানটিতে মিসাইলের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল, সঠিক সময় সঠিক স্থানে কোনো রকম বাধা বিপত্তি ছাড়াই নিজের লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হয় ব্রহ্মস। মন্ত্রালয়ের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, ” ব্রহ্মসের এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ ভার্সনের সর্বপ্রথম লঞ্চ যেটি করা হয় এসইউ-৩০এমকেআই এয়ারক্রাফট থেকে, সফল হয়েছে তার লক্ষ্যপ্রমাণে। বঙ্গোপসাগরের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে যথাসময় মিসাইলটি আঘাত হানতে পেরেছে”।
বৃহস্পতিবার সাফল্যের পর ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স সাহস যুগিয়েছে প্রত্যেকটি ভারতীয়র মনে এমনকি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অন্দরে যে এই এসইউ-৩০এমকেআই এর মাধ্যমে অনেক দূরত্ব থেকে আঘাত হানা যেতে পারে হলে অথবা জলে অবস্থানকারী শত্রুর উপর।
মন্ত্রণালয়ের দৃঢ় বিশ্বাস, আগামী দিনে এই এয়ারক্রাফট ভারতীয় এয়ারফোর্সকে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে। আসন্ন সমরে এটি ভারতের প্রমূখ অস্ত্র হিসেবে নিজের ভূমিকা পালন করবে এবং শত্রুকে নিশ্চিহ্ন করে নিজের চিহ্ন প্রতিনিয়ত রাখতে থাকবে।
এই চরম সাফল্যের পিছনে যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে সেই কঠিন এবং পরিকল্পিত পরিশ্রমের যোগ্য কৃতিত্ব ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স এর পাওনা। এ দুষ্কার্য সাধনে প্রমূখ সহায়তায় ছিল, ভারতীয় নৌ বাহিনী, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ( ডি আর ডি ও) বিপিএল, হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড (এইচ এ এল)।
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…