বাংলাহান্ট ডেস্ক: নিরলস সাহিত্যচর্চার জন্য বাংলা সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের মানুষের জন্য সর্বক্ষণ কাজ করেও তাঁর যে সাহিত্য প্রেম প্রষ্ফুটিত হয়েছে তার জন্যই এই বিশেষ সম্মান। শিল্পী শুভাপ্রসন্ন আবার দাবি করেছেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে নিজে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে সম্বর্ধনা দিতেন। বিষয়টা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (Joyjit Banerjee)।
স্পষ্ট কথা স্পষ্ট ভাবে বলার জন্য বিশেষ পরিচিতি আছে জয়জিতের। নিজের এই বিশেষ গুণের পরিচয় আগেও দিয়েছেন অভিনেতা। এবার কারোর নাম না করেই তিনি লিখলেন, ‘মৃত্যুর পর অঙ্গদান ভালো। কিন্তু মৃত্যুর আগে শিরদাঁড়া দান????
বাংলা কবি সাহিত্যিকরা সেটা করে দেখিয়েছে।’
না, এই পোস্টে কারোর নাম উল্লেখ করেননি জয়জিৎ। তবে খোঁচাটা কার বা কাদের উদ্দেশে ছিল তা সকলেই বুঝে গিয়েছেন। আসলে গত সোমবার রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিনে রাজ্যের তথ্য সংষ্কৃতি দফতর আয়োজিত কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষনা করা হয়।
তখনি শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ঘোষনা করেন, বাংলার স্বনামধন্য সাহিত্যিকদের সঙ্গে আলোচনা করার পরেই এই পুরস্কার মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিতর্ক আরো কয়েক ধাপ বাড়ে যখষ শিল্পী শুভাপ্রসন্ন বলেন, এতে সমালোচনার মতো কোনো কারণ তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না।
বরং নিন্দুকদের ‘ঈর্ষাকাতর’ বলে কটাক্ষ করে তিনি দাবি করেন, রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে নিজে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরস্কার দিতেন! শুভাপ্রসন্নের বক্তব্যে কার্যত বাক্যহারা আমজনতা। ‘নিন্দুক’দের দাবি, চাটুকারিতার সীমা অতিক্রম করে ফেলেছেন সকলে।
এর আগে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র ‘কবি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘হাম্বা’ এবং ‘এপাং ওপাং ঝপাং’ কবিতা দুটি পড়ে শোনান সোশ্যাল মিডিয়ায়। হাসির রোল উঠেছিল তাঁর পোস্টের কমেন্ট বক্সে। এবার জয়জিৎ কম শব্দে স্পষ্ট ভাষায় আঘাত হেনেছেন। ভাইরাল হচ্ছে অভিনেতার এই পোস্ট।