বেড়া দিয়েও হল না কাজ! গত তিনদিনে উত্তর কোরিয়ায় করোনা আক্রান্ত ৮ লাখ! কড়া পদক্ষেপ কিমের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পৃথিবীর বুকে করোনা সংক্রমনের প্রথম হদিশ মেলে 2019 সালের শেষের দিকে। এরপর দীর্ঘ দু’বছরের ওপর সময় কেটে গেলেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এখনো জারি রয়েছে করোনার ভয়াবহতা! এরই মাঝে উত্তর কোরিয়ায় ঘটলো করোনা বিস্ফোরণ। লকডাউনের মধ্যেও সেদেশে হু-হু করে বেড়ে চলেছে করোনার গ্রাফ। এমনকি, গত তিনদিনে উত্তর কোরিয়ায় আট লক্ষের উপর মানুষ মরণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর।

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় করোনা মহামারীর কারণে প্রথম মৃত্যু ঘিরে উদ্বেগের সৃষ্টি হয় গোটা দেশে। এরপরেই ধীরে ধীরে দেশের সকল প্রান্তে লকডাউন ঘোষণা করে দেশকে দুর্ভেদ্য প্রাচীর বানিয়ে ফেলে কিম জং প্রশাসন। তবে লকডাউন সত্ত্বেও বর্তমানে করোনার গ্রাফ নিচে নামার কোন লক্ষণই দেখা দেয়নি বরং ক্রমশ লাফিয়ে বেড়ে চলেছে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা। বিগত কয়েকদিনে দেশে মোট 42 জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বর্তমানে সরকারের প্রধান চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সংক্রমণ সংখ্যা।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত তিন দিনে উত্তর কোরিয়ায় মোট 8 লক্ষ 20 হাজার 620 জন করোনা সংক্রমনের শিকার হয়েছেন। প্রশাসনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন 3 লক্ষ 24 হাজার 550 জন। কোভিডের এই ঊর্ধ্বগামী সংক্রমণ মাঝেই গোটা দেশজুড়ে আরো কড়া লকডাউন জারি করা হয়েছে। বর্তমানে পণ্য পরিবহন, যাতায়াত, কর্মক্ষেত্র সর্বত্রই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

যদিও দেশের এই বিপর্যয়ের পেছনে উত্তর কোরিয়া সরকারের গাফিলতিকেই তুলে ধরেছে বিশেষজ্ঞরা। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ওমিক্রণ-এর প্রাদুর্ভাবের জন্যই পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। তবে সরকারের সেই দাবি মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, করোনার প্রথম ঢেউয়ের পরেও কিম সরকার দেশে টিকা প্রদানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি, এমনকি চীন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা ভ্যাকসিন প্রদানের কথা বলা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। এছাড়াও যথাযথ পরীক্ষা না করা এবং উদাসীন মানসিকতার জন্যই বর্তমানে দেশের এহেন হাল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর