এক জেদি বাঙালির কাহিনী, যিনি কলকাতা থেকে পায়ে হেঁটে পৌঁছলেন লাদাখে

বাংলা হান্ট ডেক্স: কথায় বলে, বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। তাই পকেটের জোর না থাকলেও দমে যায় না ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির মন। বরং ইচ্ছেশক্তির উপর ভর করেই অজানাকে জানতে পাড়ি দিতে পারে মাইলের পর মাইল পথ। সেরকমই এক বাঙালি হলেন হুগলির সিঙ্গুরের বাসিন্দা মিলন মাঝি। তাঁর কীর্তি শুনলে চোখ কপালে উঠবেই! রুকস্যাক পিঠে পায়ে হেঁটেই লাদাখ পাড়ি দিয়েছেন তিনি। প্রথম বাঙালি হিসাবে এমন নজির গড়ার কাণ্ডারি হলেন সিঙ্গুরের এই যুবক।

মাত্র ছাব্বিশ বছরের মিলন কুমার মাঝি শপথ নিয়েছেন তাঁর এক দুর্দান্ত লক্ষ্য পূরণের। আর সেই লক্ষ্য পূরণের তাগিদে বর্তমানে পথ হাঁটছেন মিলন। হাঁটছেন মাইলের পর মাইল, পেরিয়ে যাচ্ছেন পথের ধারের একের পর এর মাইল ফলক। সিঙ্গুরের এই যুবকের ইচ্ছা, তিনি লাদাখ যাবেন পায়ে হেঁটে। তাও মাত্র ১০০ দিনে।

হাওড়া ব্রিজ থেকে হেঁটে লাদাখের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন এই যুবক । নিজের দৃঢ় সংকল্পে ভর করে ৬০ দিনের মাথায় ইতিমধ্যেই তিনি পৌঁছে যান হিমাচলের মান্ডি জেলায় । কলকাতা থেকে লাদাখের দুরত্ব প্রায় ২৫০০ কিমি । ১০০ দিনে এই বিপুল পথ পাড়ি দেওয়ার ইচ্ছা ছিল মিলনের। ৬০ দিনের মধ্যে যার অনেকটা অর্থাৎ ১৮০০ কিমি পথ ইতিমধ্যেই তিনি পেরিয়ে গিয়েছিলেন । প্রতিদিন প্রায় ৩০ কিমি করে হাঁটছেন এই যুবক । সঙ্গী বলতে পিঠে একটি ৩৫ কেজির রুকস্যাক যাতে ছিল কিছু জামাকাপড়, টেন্ট, শুকনো খাবার, জল। এরপর ঠিক ৮৩ তম দিনে তিনি নিজের লক্ষ্য হাসিল করে লাদাখে পৌঁছে এক অনন্য কীর্তি হাসিল করেন।

jpg 20220517 121726 0000

মিলন জানিয়েছেন, তিনি ঠিক করেছিলেন এই বিশেষ যাত্রায় কোনও হোটেলে থাকবেন না। তবে গোটা যাত্রাপথে কেউ না কেউ ভালোবেসে ঠিকই রাত্রে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। আসলে এই প্রথমবার কোনাে বাঙালি যুবক পায়ে হেঁটে লাদাখ পাড়ি দিতেই প্রত্যেক বাঙালিই চেয়েছেন মিলন জয়ী হয়ে ফিরুক। প্রথমে একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে মিলন মাঝির পায়ে হেঁটে লাদাখ পাড়ি দেওয়ার খবরটি ভাইরাল হয়। তারপর বিভিন্ন জায়গাতে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে তার খবর। সােশ্যাল মিডিয়াতেও তাকে নিয়ে চলছে তুমুল চর্চা।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর