বাংলাহান্ট ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন নভজ্যোত সিংহ সিধু। ৩৪ বছরের পুরনো মামলায় ১ বছরের কারাবাসের সাজা শোনাল আদালত।
১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ ওঠে সিধুর বিরুদ্ধে। জানা যায়, ঘটনার দিন রাস্তার মাঝ বরাবর নিজের জিপসি গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন সিধু। সেই সময় গুরনাম ও তাঁর সঙ্গীরা ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁরা সিধুকে অনুরোধ করেন, গাড়িটি সরিয়ে রাখতে। সিধু রাজি না হওয়ায় সৃষ্টি হয় বাদানুবাদ। এরপরই সিধু সরাসরি আঘাত করেন ওই ব্যক্তির মাথায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
১৯৯৯ সালে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ‘বেনিফিট অফ ডাউট’ দিয়ে সিধুকে মুক্তি দেওয়া হলেও ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করার নতুন মামলা রুজু করেন মৃতের পরিবার। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার হাই কোর্টে দায়ের হওয়া সেই মামলায় ২০০৬ সালে তিন বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয় সিধুকে। সেই সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল তাঁকে। সিধু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। ২০১৮ সালে সিধুর শাস্তি কমিয়ে তাঁকে ১ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে মৃতের পরিবার রিভিউ পিটিশন দাখিল করায় স্থগিত রাখা হয় রায়দান।
ইতিমধ্যেই প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বর্তমানে কংগ্রেস নেতা সিধু দাবি করেন, একটি মাত্র আঘাতেই যে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল, এমন কোনো প্রমাণ নেই। এত দিন পর সেই মামলাতেই সিধুকে এক বছরের সাজা শোনাল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।