বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পদে রয়েছে পরেশ অধিকারী আর সাম্প্রতিক সময়ে তিনি-ই নাকি গায়েব! বর্তমানে সিবিআই হাজিরা এড়ানোর জন্যই তিনি নিরুদ্দেশ হয়েছেন বলে খোঁচা মারতে শুরু করে দিয়েছে বিরোধীরা। এমনকি হাইকোর্টের বিচারপতি পর্যন্ত তাঁকে তৎক্ষণাৎ কলকাতায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আর অবশেষে এই তৃণমূল নেতার দেখা মিলল বাগডোগরা বিমানবন্দরে।
কিছু পূর্বেই খবর মিলেছিল যে, বাগডোগরা থেকে কলকাতা আসার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। বাস্তবেও তাই দেখা গেল। সেই সময় গন্তব্য প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসাও করা হয় এবং এই প্রশ্নের উত্তরে পরেশ অধিকারী জানান, “আমি কলকাতা যাচ্ছি। আপাতত এটাই বলতে পারি।”
উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন পরেশ অধিকারী। মেধাতালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও নিজের মেয়েকে বেআইনিভাবে চাকরিতে ঢুকিয়ে দিয়েছেন, এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করে সিবিআই। তবে একাধিকবার হাজিরার নির্দেশ দেওয়ার সত্বেও প্রতিবারই তা এড়িয়ে যান পরেশবাবু। এরপরই কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় হস্তক্ষেপ করে গতকাল প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ পরেশ অধিকারীকেও নিজাম প্যালেসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন। এক্ষেত্রে পার্থ হাজির হলেও আচমকা গায়েব হয়ে যান পরেশ অধিকারী।
উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেও মাঝপথে নিরুদ্দেশ হয়ে যান তিনি। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয় হাইকোর্টে। সেই শুনানি চলাকালীন এদিন বিকেল 3 টের সময় তাঁকে সিবিআই অফিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরেই পরেশবাবুর আইনজীবী জানান, “কোচবিহার থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন পরেশ অধিকারী। তবে বিকেল 3 টের মধ্যে কোন মতেই তিনি এসে পৌঁছাতে পারবেন না। তাঁর পৌছাতে সন্ধ্যা 6:30 হবে।” এর মধ্যে যেন পুলিশ তৃণমূল নেতাকে না ধরে, সেই প্রসঙ্গেও প্রার্থনা জানান তিনি।
এই প্রসঙ্গে অভিজিৎ বাবু বলেন, “কাউকে জামাই আদর করা হবে না। তৎক্ষণাৎ কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিধান নগর কমিশনারেটকে যোগাযোগ করতে হবে। কলকাতায় এসে পৌঁছলে পরেশ অধিকারীকে সিবিআইয়ের কাছে নিয়ে যেতে হবে।”
উল্লেখ্য, এদিন সিবিআই দফতরে পরেশ এবং তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা দুজনকেই নিজাম প্যালেসে হাজির থাকতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তবে এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে পরেশ বাবুর দেখা মিললেও অঙ্কিতার দেখা মেলেনি, যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল ঘোলা আর এই বিতর্ক শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।