বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যত দিন এগোচ্ছে, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় রাজ্যবাসীর সামনে একের পর এক নতুন তথ্য উঠে আসছে। ইতিমধ্যেই শাসক দলের একাধিক নেতার নাম জড়িয়ে পড়েছে এই মামলায়। গতকাল সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে চান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর এদিন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে নিজাম প্যালেসে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি। এই নিয়ে পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে, তখন এদিন খাস কলকাতায় পুলিশের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক এসএসসি চাকরিপ্রার্থী।
সূত্রের খবর, মেয়ো রোডের মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে কিছু চাকরি প্রার্থীরা আর তার মাঝেই সেখানে হঠাৎ আত্মহত্যার চেষ্টা করে বসে এক মহিলা চাকরি প্রার্থী। তৎক্ষণাৎ তাকে সেই কাজ থেকে বিরত করা হয় এবং বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে বলে খবর।
আদালতে এসএসসি সংক্রান্ত মামলা চলার মাঝেই এদিন বিজেপি নেতা সজল ঘোষের নেতৃত্বে কয়েকজন এসএসসি চাকরিপ্রার্থী মিলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ডেপুটেশন জমা দেওয়া। তবে এর মাঝে মেয়ো রোডে পুলিশ তাদের পথ আটকাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। সেই সময় সেখানে এক মহিলার চাকরিপ্রার্থী গাছের মধ্যে গলায় দড়ি দিতে যান বলে জানা যায়। এরপর তাকে আটকাতে তৎপর হন এক মহিলা পুলিশ এবং শেষ পর্যন্ত মহিলাকে বাঁচানো সম্ভব হয়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “আমরা রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার জন্য রওনা দিই। রাজ্যপাল আমাদের সময়ও দিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ো রোডে পৌঁছানোর পরে পুলিশ আমাদের বাধা দেয় এবং ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। সেই সময় কিছু পরীক্ষার্থী মহিলাদের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা করতে যায় আর তার বিরোধিতা করে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে আমাদের মারতে শুরু করে। পরবর্তীতে গাড়িতে তুলে আমাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।” ঘটনাটি সামনে আসার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইট করে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন।