এবার চাকরি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল বিজেপির! দুই বিধায়কের বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে সরগরম হয়ে রয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। শাসক দলের একের পর এক নেতার জড়িয়ে থাকার তথ্য সামনে এসে চলেছে। এর মাঝেই এবার চাকরি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ালো বিজেপির!

সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা এবং চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ বেআইনিভাবে তাদের পরিবারের সদস্যদের চাকরিতে ঢোকান, আর তা হয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সুপারিশেই! এহেন ঘটনায় বর্তমানে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। কল্যাণীর কেন্দ্রীয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে কোনরকম পরীক্ষা না দিয়েই তারা চাকরি পায় বলে অভিযোগ। এমনকি, বর্তমানে এক বিজেপি নেতাই তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের কাছে নালিশ জানান এবং এরপরেই এই ঘটনাটি সামনে আসে বলে জানা গিয়েছে।

বর্তমানে এসএসসি দুর্নীতি মামলা নিয়ে তৃণমূলের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে পরেশ অধিকারীদের মত মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সিবিআই অফিস থেকে সমন পাঠানোর ঘটনায় মুখ পুড়েছে শাসক দলের। এর মাঝেই অবশ্য তৃণমূল দাবি করে আসে যে, ‘এসব কেন্দ্র সরকারের চক্রান্ত’।

তবে এবার এই বিতর্কের মধ্যে নাম জড়িয়ে পড়ল বিজেপি দলেরই! এই ঘটনা সামনে আসার পরেই তৃণমূল দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারি হয়েছিলো। এবার পরীক্ষা ছাড়াই চাকরিতে ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাংলায়। এখন শুনছি যে, পরীক্ষা ছাড়াই ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের পদে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি জানতে চাই যে, এখন কেন সিবিআই চাওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার উচিত, বিজেপি নেতাদের তলব করা।”

তিন সপ্তাহ পূর্বে চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূ এইমসের নার্সিং কলেজে আপার ডিভিশন ক্লার্ক পদে চাকরি পান। এছাড়াও নীলাদ্রি শেখর বাবুর কন্যাও বেআইনি ভাবে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে নিযুক্ত হয় বলে অভিযোগ। এরপরই অপর এক বিজেপি নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করে যে, তাদেরকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সংক্রান্ত ব্যাপারে অমিত শাহকে চিঠি দিয়ে অভিযোগও করেন তিনি আর এই খবর সামনে আসতেই উঠে পড়ে বসে বিজেপি দল। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা অবশ্য জানায় যে, এক্ষেত্রে কোনো রকম আইনের লঙ্ঘন হয়নি।

তবে এই ঘটনায় উঠে এসেছে এক প্রভাবশালী বিজেপি নেতার প্রসঙ্গ, যার দ্বারা এই চাকরিগুলির সুপারিশ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। নদীয়া জেলার বিজেপি নেত্রী দীপা বিশ্বাসের নাম এক্ষেত্রে জড়িয়ে পড়েছে। এই প্রসঙ্গে অবশ্য বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “যদি কোন বেআইনি কাজ হয়ে থাকে, তবে এইমস কর্তৃপক্ষের উচিত তদন্ত করা। অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তবে আমাদের তা খতিয়ে দেখতে হবে।”


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর