বাংলাহান্ট ডেস্ক : এসএসসি কেলেঙ্কারির জেরে তোলপাড় গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। তাঁকে তাঁর সম্পুর্ণ বেতন দুটি কিস্তির মধ্যে ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সেই অঙ্কিতা অধিকারীকেই একহাত নিলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।
অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি হারানোর পর থেকে রীতিমতো হৈচৈ স্যোশাল মিডিয়াতেই। চলছে কটাক্ষ, কৌতুক, মীমের বন্যা। ইতিমধ্যেই ফেসবুকে ভাইরাল সততা সম্পর্কিত মন্ত্রীকন্যার একটি পোস্ট। বিরোধী শিবির থেকে নেটিজেন কেউই কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তাঁকে। এরই মধ্যে এই তালিকায় যুক্ত হলেন দেবাংশু ভট্টাচার্যও। সিপিএমের প্রসঙ্গ টেনেই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে আক্রমণ শানালেন তিনি।
এদিন দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, ‘অঙ্কিতা অধিকারী পুরো সিপিএমের মতোই কাজ করেছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, উনি যদি সত্যিই চুরি করে চাকরি নিয়ে থাকেন, তাহলে সিপিএম যেমন ৩৪ বছর ধরে চুরি ডাকাতি করে বলে ওদের মতো সৎ পার্টি আর নেই। ইনিও অসৎ উপায় অবলম্বন করে চাকরি পেয়েছেন এবং তার উপর প্রোফাইল পিকচারের উপর লিখেছেন সততাই জীবনের সর্বোত্তম নীতি। সিপিএম-এর সঙ্গে অঙ্কিতা অধিকারীর মিল রয়েছে। আমি ওনাকে প্রস্তাব দেব, পরবর্তিকালে রেড ভলান্টিয়র্স থেকে শুরু করে পলিটব্যুরো পর্যন্ত যাওয়ার।’
বলাই বাহুল্য, দেবাংশুর এহেন কটাক্ষ মুখ বুজে হজম করতে নারাজ সিপিএম। যুব তৃণমূল নেতার এহেন কটাক্ষের প্রেক্ষিতে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সায়নদীপ মিত্রের দাবি, ‘দেবাংশুর বয়স কম। হয়ত ওর কাঁচা মাথায় পাকা বুদ্ধি ঢুকছে না। পরেশ অধিকারীর যেমন অসৎ সঙ্গে নরক বাস হয়েছে, দেবাংশুরও তেমনই হয়েছে। পিসির দলে নাম লিখিয়ে অঙ্কিতার অধঃপতন হয়েছে। এ সমস্ত পচা বস্তুর স্থান সিপিএমে নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেবাংশু এখন মুখ বাঁচাতে চাইছে কি না জানি না। ও এখন বুঝেছে যে, কাজের বেলায় কাজি, কাজ ফুরলেই পরেশ অধিকারী। অঙ্কিতার কথা বলে দেবাংশু সিপিএমে আসার কোনও স্বপ্ন দেখছে কি না জানি না। কিন্তু দেবাংশুদের জন্য সিপিএমের রাস্তা বন্ধ।’ এহেন আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে যে বেশ সরগরম নেট পাড়া তা আর নতুন করে বলার অবধি রাখে না।