বাংলা হান্ট ডেস্ক: এতদিন নাম পাল্টাতে দেখা গেছে শহরগুলির, এবার বদলাতে চলল স্টেশনের নামও। না কোন ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক ভূমিকা নেই এখানে। বিষয়টির সাথে সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক যোগ রয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার নাম এবার দেখা যাবে স্টেশনের নামের আগে বা পরে। হাওড়া ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনের সঙ্গে এবার যুক্ত হতে চলেছে বেসরকারি সংস্থার পরিচয়। এর জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।
ইতিমধ্যেই একাধিক মেট্রো স্টেশনে দেখা গেছে বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার আচ্ছাদন। সরকারের ঘরে ঢুকেছে ভালো মুনাফা। এবার সেই দিকেই হাঁটা লাগাল পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশন। চলতি বছরের শুরুর দিকে মূলত মার্চ মাসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, একাধিক রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণের ভার দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থাকে।
কার্যত আয় বৃদ্ধি করার তাগিদেই দেশজুড়ে রেলওয়ে স্টেশনের কো–ব্র্যান্ডিংয়ের কথা ভেবেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শোনা যায় বিজ্ঞপ্তি অবধি জারি করে দিয়েছিল রেলমন্ত্রক। এই নিয়ে বিতর্কও বাড়ে। একাংশ মনে করেন এক একটি স্টেশনের ঐতিহ্য লুকিয়ে রয়েছে তাদের নামে, সেই নাম সরে গিয়ে তার পূর্বে ব্যাবসায়ী সংস্থার নাম কি মুছে ফেলবে ইতিহাসের সাক্ষর?
ইদানিং, নয়া দিল্লীর অধিকাংশ মেট্রো স্টেশনে এবং পাশাপাশি কলকাতারও কিছু মেট্রোতে দেখা গেছে এই ব্যাবস্থা। মুনাফাও এসেছে বেশ। সূত্রের খবর, সরাসরি যাত্রী ভাড়া না বাড়িয়ে, আয় বাড়ানোর দিকে এবার অগ্রসর রেল দফতর। যাত্রীদের নিত্য মূল্যবৃদ্ধির দায়ে টিকিট কিনতে হিমশিম খেতে হবে না, কারণ বাণিজ্যিক সংস্থা সরাসরি জনগনকে ভাড়া বেশি দিতে জোর করতে পারবে না। সেই অধিকার বরাদ্দ সরকারের কাছেই। তবে সমস্যা এড়াতে রেল মন্তক জানিয়েছে যে যাত্রীদের অভ্যাসজনিত কারণেই সমস্ত অনলাইন বা অফলাইন মাধ্যমে কিমবা স্টেশনে ট্রেন আসার সময় যে ঘোষণা হয়ে থাকে, সেখানে স্টেশনের আসল নামটিই প্রকাশ পাবে।