বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জল্পনা চলছিল বহুদিন ধরেই আর এবার সেই জল্পনা অবশেষে বাস্তব রূপ নিতে চলেছে! এদিন সকাল থেকেই খবর রটে যায় যে, বিজেপি ছেড়ে শাসক দলে পুনরায় প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন অর্জুন সিং। সেই মতো বিকেল ঠিক সাড়ে চারটের সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে পৌঁছে যেতে দেখা গেল তাঁকে। মনে করা হচ্ছে, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো তৃণমূলে যোগদান করতে চলেছেন অর্জুন।
দীর্ঘদিন ধরেই পাট শিল্প নিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যায় ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পথে নামাই শুধু নয়, তৃণমূল দলের পাশে থাকার বার্তাও দেন তিনি। এরপরেই জল্পনা শুরু হয়ে যায় যে, পুনরায় হয়তো একবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। আর সেই দলবদল রবিবার ঘটতে চলেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
এদিন সকালে অর্জুন সিং বলেন, “আজ আমার বেরোনোর আছে। একজনের সাথে দেখা করতে হবে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো কলকাতায় যাব আমি।” এই বলে ব্যারাকপুর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। অবশেষে কলকাতার এক হোটেলে তৃণমূল দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করে ক্যামাক স্ট্রীটের অফিসে চলে আসেন অর্জুন। এই সময় শাসকদলে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে অর্জুনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “এমন কোন কাজ কিংবা কথা থাকতে পারে না, যেটা আপনারা জানতে পারবেন না। যদি কোনরকম অঘটন ঘটার থাকে, তাহলে সেটা জানা যাবে। শেষের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। শুরু হবে তো শেষ হবে। একটু ধৈর্য ধরুন, সমস্ত ঘটনা জানতে পারবেন।”
বর্তমানে অর্জুন সিংহের প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে একাধিক তৃণমূল নেতারা মন্তব্য প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। একাধিক দলবদলের কারণে বিজেপি দলের পরিস্থিতি ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, এর মধ্যে অর্জুন সিং যদি শাসকদলে চলে যান, তাহলে রাজ্যে বিজেপি দলের কি হবে? এই প্রশ্নের জবাবে এদিন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এখন অনেকে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে চায়। তবে আমরা কাউকে আটকাবো না। কারণ বিজেপি কোন ব্যক্তি কেন্দ্রিক দল নয়, ফলে কারোর যাওয়া কিংবা আসায় আমাদের দলের উপর কোনো প্রভাব পড়বে না।” অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যে যেখানে খুশি যেতে পারে, এতে দলের কোনো রকম ক্ষতি হবে না।”