বাংলাহান্ট ডেস্ক : দলবদলু তৃণমূল নেতাদের নিয়ে সাধারণত কড়া সুরই শোনা যায় যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের গলায়। দলবদলুরা তৃনমূলে ফিরতে চাইলে কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে শুয়ে পড়ার কথা, কখনও আবার নিজেরই দল ছেড়ে দেওয়ার কথা বলতে শোনা গেছে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। কিন্তু সেসবে ফল মেলেনি কিছুই। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন একের পর এক দল বদলু নেতা। সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন অর্জুন সিং। কিন্তু অর্জুন সিং তৃণমূলে ফেরার পরই এবার অন্য সুর শোনা গেল দেবাংশুর গলায়।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেন তৃণমূল ত্যাগের হিড়িক লেগেছিল নেতাদের মধ্যে। দলে দলে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন তাবড় নেতারা। কিন্তু সেই নির্বাচনেই কার্যত ঐতিহাসিক হয় আসে তৃণমূলের। এরপরই দেবাংশু ভট্টাচার্যকে বলতে শোনা যায়, ‘দলবদলুরা যদি ফের তৃণমূলে ফিরতে চায় তাহলে আমি কালীঘাটে নেত্রীর বাড়ির দরজায় শুয়ে পথ আটকাব।’
এখানেই শেষ নয়, ২০১৯ সালের মে মাসে লোকসভা নির্বাচনের সময় তিনি এও বলেন, ‘যারা পালটি মারছে, ২০২১ এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর যদি এদের ফেরত নেওয়া হয়, সেদিন থেকে আমি আম আদমি পার্টি বা কংগ্রেসের সমর্থন করব কিংবা অন্য কোনও সমমনভানাপন্ন দলের পাশে দাঁড়াব। সেদিন আমি বেইমান হব। গর্বিত বেইমান। এই দলের সমর্থক আর থাকব না। ভগবানের দিব্যি।’
কিন্তু এসবে অবশ্য কাজ হয়নি কিছুই। একে একে দলে ফিরেছেন সপুত্র মুকুল রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত্রা। এই তালিকায় সর্বশেষ নাম অর্জুন সিংয়ের। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতে এবার নিজেরই বক্তব্য ভুলে উল্টোসুর শোনা গেল দেবাংশুর গলায়। দল ত্যাগের দিব্যি ভুলে এখন তাঁর পছন্দ অপছন্দ দলের কাছে গৌণ বলেই দাবি এই যুব তৃণমূল নেতার। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেবাংশুর দাবি, ‘বিজেপিকে বাংলায় ভেঙে টুকরো টুকরো করার জন্য, যেটুকু আগাছা রয়েছে তা শেষ করার জন্য, যা করতে হয় করব। দলের শৃঙ্খলাপরায়ণ কর্মী হিসেবে সকলের তা মানা উচিত। এখানে আমার পছন্দ অপছন্দটা গৌণ।’ বলাই বাহুল্য, অর্জুন সিংয়ের ঘর ওয়াপসির জল্পনার মধ্যেই দেবাংশু ভট্টাচার্যের পূর্বোক্ত বক্তব্যকে নিয়ে কার্যতই ট্রোল এবং মীমের হাট বসেছে স্যোশাল মিডিয়া জুড়ে। দেবাংশুর ‘বেইমান’ হওয়ার রসে বঞ্চিত হয়ে তাই কৌতুক রস আস্বাদন করতে ভুলছেন না নেটিজেনরা।