বাংলাহান্ট ডেস্ক : এতদিন ব্যারাকপুরের বিজেপির দায়িত্বে ছিলেন অর্জুন সিংই। কিন্তু রবিবারই দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। তবে এবার ব্যারাকপুরের দায়িত্ব কার হাতে ছাড়বে বিজেপি তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই রাজ্য রাজনীতিতে। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যেও এই বিষয়ে তৈরি হয় জল্পনা। কিন্তু শেষমেষ শুভেন্দু অধিকারীকেই ব্যারাকপুরের দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি। এবার এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নিলেন মদন মিত্র।
মঙ্গলবারই শুভেন্দুকে কটাক্ষ করলেন মদন। এদিন কামারহাটির বিধায়ক বলেন, ‘কাল ব্যারাকপুর পর্যন্ত যেতে পারবেন না শুভেন্দু। তার আগেই তার টায়ার পাংচার হয়ে যাবে। গাড়ির টায়ার পাংচার হতে পারে, গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটি হতে পারে।’ এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘খুব খারাপ লাগে। শুভেন্দুর কত ভালো প্রসপেক্ট ছিল। কত ভালো কেরিয়ার ছিল। কাল ব্যারাকপুর অবধি গেলে ভালো। তার আগে যদি গাড়ির টায়ার পাংচার হয়। আমি বলতে পারব না, অনেক কিছুই হতে পারে। ব্যারাকপুর পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।’
এহেন মন্তব্যের মাধ্যমে যে স্পষ্টতই শুভেন্দু অধিকারীকে হুঁশিয়ারি দিলেন মদন মিত্র তা বলাই বাহুল্য। ব্যারাকপুর যেতে গেলে কামারহাটিকে কোনও মতেই এড়িয়ে যেতে পারবেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পথের ওইটুকু অংশ যে তাঁর জন্য খুব একটা মসৃণ মোটেই হবে না তেমন ইঙ্গতই এদিন খোলাখুলি দিলেন মদন মিত্র।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই একই সুর কয়েক মাস আগেও শোনা গিয়েছিল মদন মিত্রের গলায়। তবে সেদিন অর্জুন সিংকেই বিটি রোডে আসা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক। সেই বাকবিতন্ডার জলও গড়িয়েছিল বহুদূর। বিজেপিতে থাকাকালীন মদন এবং অর্জুনের সম্পর্ক যে কার্যতই আদায় কাঁচকলায় ছিল তাও বলার অবধি রাখে না। কিন্তু এবার সেই অর্জুন সিংই তৃণমূলে। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব অর্জুন সিংয়ের হাতেই দিয়েছে তৃণমূল। এরপরই এবার অর্জুনের ডেরায় শুভেন্দুর প্রবেশ রুখতে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল মদন মিত্রকে। সব মিলিয়ে ভালোরকম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাংলার রাজ্য রাজনীতিতেই।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট