বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলায় বিজেপির তাবড় নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অর্জুন সিং। সেই অর্জুন সিংই দল ছাড়াই এবার দলের সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় বদলের পথে হাঁটছে বিজেপি। এতদিন দলের যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদে থাকলেও এবার বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হল সৌমিত্র খাঁকে। বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদনের পরই এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফত খবর। আর এই নতুন পদে বসেই অর্জুন সিংকে একহাত নিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
এদিন অর্জুনের দলত্যাগ নিয়ে রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে শোনা যায় সৌমিত্র খাঁকে। এদিন তিনি বলেন, ‘আগে যখন মুকুল রায়, সুজাতা আরও অনেকে তৃণমূলে যোগদান করেছিল তখন আমার দিকেই আঙুল তুলেছিলেন অনেকে। অনেকেই বলেছিলেন আমিও নাকি শীঘ্রই তৃণমূলে যোগ দিতে পারি। কিন্তু আমি তখনও বলেছিলাম, বাংলার চতুর শেয়াল হচ্ছেন ভাইপো বন্দ্যোপাধ্যায়। এই চতুর শেয়াল যেদিন তৃণমূল থেকে সরে যাবেন সেদিন আমিও আবার তৃণমূলে ফেরার কথা ভাবব। সবকিছুর মূলেই রয়েছেন ওই চতুর শেয়াল হরিদাস ভাইপো।’
এখানেই থামার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি তাঁর। তিনি আরও বলেন, ‘অর্জুনদার সঙ্গে আমার সম্পর্ক বরাবরই ভালো ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক সম্পর্ক আর ব্যক্তিগত সম্পর্ক আলাদা জিনিস। তাই চতুর শেয়ালের হাত ধরে পাঁঠাবলির মতন কখনওই বলি হব না আমি। কারণ আমি চতুর শেয়ালের পতন দেখতে চাই।’
শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কটাক্ষ করে থেমে থাকেননি সৌমিত্র খাঁ। বাংলার উন্নয়নের প্রশ্নেও সওয়াল তুলেছেন তিনি। বলেন, ‘যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়, তার সমতূল্য সরকারি কাজ রাজ্যে মোটেই হচ্ছে না। বীরভূম, আসানসোল, পুর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, থেকে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয় তার সিকিভাগ কাজও এখানে হয় না। নদীর পাশে বন্যা কবলিত এলাকায় বাঁধ তৈরি হয় না। জঙ্গলমহলের মানুষ খেতে পাচ্ছেন না। উত্তরবঙ্গের মতন রাঢ়বঙ্গও বঞ্চিত।’ উল্লেখ্য, এর আগে গতকালই রাঢ়বঙ্গকে আলাদা রাজ্য ঘোষণা করার দাবিতে সরব হয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। যদিও এবার শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে এসে কী হয় তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ সেটাই দেখার।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট