বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যে কোন দেশের প্রধানমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রনায়ক মানেই তাঁর কাঁধে গোটা দেশকে বয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব থাকে। দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে এবং বুদ্ধি খাটিয়ে দেশকে শক্তিশালী করে তোলা এবং দেশবাসীর কল্যাণ করার মূল দায়িত্ব থাকে তাঁর মাথায়। তাঁদের জীবনে উত্থানের কাহিনীও অনেক সময় বেশ আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। কেউ যেমন বাবার উত্তরসূরি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর পদ অর্জন করেন তো আবার কেউ সামান্য চা-ওয়ালা থেকে যাত্রা শুরু করেন। পরবর্তীকালে দেশবাসীর প্রধান ভরসা হয়ে ওঠেন তাঁরা। সে রকম কিছু ব্যক্তি এবং তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা তুলে ধরা হবে আজ।
নরেন্দ্র মোদি (ভারতের প্রধানমন্ত্রী)
1950 সালের 17 ই সেপ্টেম্বর গুজরাটে জন্মগ্রহণ করেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। গরিব পরিবারে ছোটবেলায় কোন মতে দিন কাটত তাঁর। এমনকি রেল স্টেশনে বাবার সঙ্গে চা বিক্রি করতে হয় তাঁকে। এরপর গুজরাটের ভদনাগর থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরশিক্ষার মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক এবং গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন নরেন্দ্র মোদি। পরবর্তীকালে রাজনীতিতে প্রবেশ করার মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয়।
জেসিন্ডা আর্ডেন (নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী)
নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনে জন্মগ্রহণ হয় জেসিন্ডার। এরপর স্কুল এবং কলেজ পাশ করে 2001 সালে রাজনীতি ও পাবলিক রিলেশন নিয়ে ওয়াইকাটো থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েশন পাস করেন।
অ্যান্থনি আলবানিজ (অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী)
সদ্য অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন অ্যান্থনি। সিডনিতে জন্মগ্রহণ করে পরবর্তীতে স্কুল এবং কলেজ পাশ করেন তিনি। এরপর দু’বছর ব্যাংকেও চাকরি করেন। অর্থনীতির ছাত্র অ্যান্থনি কলেজ জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীকালে রাজনীতির সামনের সারিতে নিয়ে আসেন নিজেকে এবং বহু প্রচেষ্টার পর বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন।
রেনিল বিক্রমাসিংহে (শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী)
সম্প্রতি, শ্রীলঙ্কা দেশটি অর্থনৈতিক দিক থেকে বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই চরম আকার ধারণ করেছে যে, গণআন্দোলনের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দিতে বাধ্য হন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষ। আর এরপরেই এই পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিক্রমাসিংহে। স্কুল এবং কলেজ জীবন শেষ করে তিনি কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মরত থাকেন বিক্রমাসিংহে। ডক্টরেট উপাধি পাওয়া বিক্রমাসিংহে মানবাধিকার নিয়েও পড়াশোনা করেন বলে জানা যায়।
বরিস জনসন (ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী)
1964 সালে জন্মগ্রহণ করেন বরিস। ছাত্র জীবনে তিনি পরপর তিনটি স্কুল পরিবর্তন করেন। যথাক্রমে উইন্স ফোর্ড ভিলেজ স্কুল, প্রিমরোজ হিল স্কুল এবং ইউরোপিয়ান স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি। পরবর্তীকালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করেন ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।