স্কুলে নলকূপ বসাতেও চাই ১০ হাজার টাকা তোলা! ফের বিজেপির নিশানায় তৃণমূল

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরেও ’তোলা’ আদায় থেকে বিরত হতে নারাজ একাংশ তৃণমূল নেতা। এটা যে নিছক কথার কথা নয়, সেটারই বাস্তবে প্রমাণ মিললো পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের চিকনহাটি গ্রামের এক তৃণমূল নেতার কার্যকলাপে । ব্লকের ভিলেজ রিসোর্স পার্সন (ভিআরই) পদে কর্মরত অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতার নাম বিশ্বজিৎ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে ’তোলাবাজির’ চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে একটি ঠিকাদার সংস্থা।

ওই সংস্থার অভিযোগ, তাদের কাছে মোটা টাকা ’তোলা চেয়ে’ না পেয়ে চিকনহাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিলিন্ডার কল বসানোর কাজ বন্ধ করিয়ে দিয়েছেন বিশ্বজিৎ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার জামালপুর থানা ও বিডিওর দপ্তরে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন নির্মাণকারী সংস্থার কর্ণধার শেখ মারজান আলী। অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা ।

জামালপুর ব্লকের চকদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম চিকনহাটি। এই গ্রামেই এক প্রান্তে রয়েছে চিকনহাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানকার পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্না ও পানীয় জলের সংস্থানের জন্যে জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতি বিদ্যালয়ে একটি সিলিন্ডার কল বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মত কাজেও লেগে পড়ে নির্মাণকারী সংস্থার লোকজন।

প্রশাসনকে নির্মাণকারী সংস্থার কর্ণধার মারজান আলী জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ে সিলিন্ডার কল বসানোর জন্য পঞ্চায়েত সমিতি ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ করে। তাঁর সংস্থা কল বসানোর কাজের বরাত পায়। কাজ শুরুর আগে তিনি ও তাঁর লোকজন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এলাকার সন্মানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন। ওনাদের দেখিয়ে দেওয়া বিদ্যালয়ের জায়গায় গত সোমবার সিলিন্ডার কল বসানোর কাজ শুরু করে শ্রমিক ও মিস্ত্রিরা।

অপরদিকে, তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ ঘোষকে ঠিকাদার সংস্থার আনা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। পাল্টা বিশ্বজিৎ ঘোষ দাবি করেন, আমি এলাকার তৃণমূলের নেতা। পাশাপাশি তিনি চকদিঘি পঞ্চায়েতে ভিলেজ রিসোর্স পার্সনের কাজ করেন। এমনকী, এনআরইজিএস-এর কাজও দেখাশুনা করেন। সেই কারণেই তিনি এলাকার কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে কল বসানোর কাজে যুক্ত শ্রমিকদের কাছে ওয়ার্ক অর্ডার ও অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে জানতে চান। ঠিকাদার সংস্থার কর্মকর্তার সঙ্গেও কথা বলেন। তবে কোনও টাকা পয়সার দাবি কারোর কাছে করেননি।’

যদিও, বিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা এলাকার জনপ্রতিনিধি বা বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির কেউ না হয়েও কোন এক্তিয়ারে বিদ্যালয়ের কল বাসানোর ব্যাপারে কৈফিয়ত চাইতে গেলেন? এই প্রশ্নের সুস্পষ্ট কোনও উত্তর অবশ্য তৃণমূল নেতা দিতে পারেননি।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর