বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজমের দরগা নাকি আদতে হিন্দু মন্দির! এমনই দাবি করে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখলেন এক হিন্দুত্ববাদী নেতা। এই দাবি নিয়েই শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক।
ভারতে মন্দির-মসজিদ নিয়ে সমস্যা আজকের নয়। যার প্রকট রূপ দেখা যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময়। এর পর একের পর এক ঘটে যায় রাম মন্দিরের দাবি সংক্রান্ত মামলা, সম্প্রতি তাজমহলকে তেজোমহালয়া মন্দির বলি দাবি, জ্ঞানবাপী মন্দির নিয়ে বিতর্ক। এর সঙ্গেই যুক্ত হয়ে গেল আজমের দরগাকে হিন্দু মন্দির বলার দাবিও।
এই দাবি নিয়েই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটের কাছে চিঠি লিখেছেন রাজ্যবর্ধন সিংহ পারমার। তিনি আদতে দিল্লির বাসিন্দা। রাজ্যবর্ধনের আর একটি পরিচয় আছে। তিনি মহারানা প্রতাপ সেনার রাষ্ট্রীয় সভাপতি। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন আজমেরে অবস্থিত খাজা নওয়াজের দরগা আগে হিন্দু মন্দির ছিল। প্রমানের জন্য পুরাতত্ত্ব বিভাগের দ্বারা তদন্ত করার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি মনে করেন তদন্ত হলেই হিন্দু মন্দিরের প্রমাণ সবার সামনে আসবে। তিনি এও দাবি করেছেন দরগার ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর হিন্দু মন্দিরের প্রমাণ পাওয়া যায়। যার মধ্যে নাকি স্বস্তিক চিহ্নের প্রমাণও পাওয়া যায়। পারমার মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠির প্রতিলিপি রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালকেও পাঠিয়েছেন।
সম্প্রতি খাজা গরীব নওয়াজের ৮১০ বছর পূর্ণ হলো। এই দরগার ইতিহাস প্রায় ৯০০ বছরের পুরনো। এর আগে কোনও দিনই ওখানে হিন্দু মন্দিরের কথা শোনাও যায় নি। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিকে ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট