বাংলাহান্ট ডেস্ক: পরপর তিনটি মৃত্যু যেন ভেতর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে টলিপাড়াকে। পল্লবী দে (Pallabi Dey), বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha Dey Majumder), মঞ্জুষা নিয়োগী (Manjusha Neogi) একের পর এক তরুণ প্রজন্মের অভিনেত্রীরা বেছে নিচ্ছেন আত্মহননের (Suicide) পথ। জীবনটা ঠিক ভাবে শুরু হওয়ার আগেই পড়ে যাচ্ছে পূর্ণচ্ছেদ। কেন? কারটা কী এত আত্মহত্যার হিড়িক ওঠার? যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya) উত্তর খুঁজলেন নিজের মতো করে।
তিন তিনটে তরতাজা প্রাণ শেষ হয়ে গিয়েছে দশ বারো দিনের মধ্যেই। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বিনোদুনিয়ার তরুণ প্রজন্ম। কারোর মতে, কম বয়সে হাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ এসে যাওয়াই সর্বনাশের মূল। এই প্রজন্ম স্ট্রাগল করতে শিখছে না। আবার কারোর মতে, সম্পর্কের টানাপোড়েন, বাবা মাকে অগ্রাহ্য করার মানসিকতাই চরম পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে তাঁদের।
দেবাংশু কী বললেন? ফেসবুকের দেওয়ালে একটি বড়সড় বার্তা দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, জীবনযাত্রার মান সহজ সরল রাখাই ভাল। অনেক টাকা খরচ করে নিজেকে কেউকেটা দেখানোয় কী লাভ? দেবাংশুর কথায়, ‘হয়ত যাকে বা যাদেরকে দেখাচ্ছেন, ভিতরে ভিতরে তারাও ভীষণ ফাঁপা হয়ে আছেন। কী লাভ তাহলে? কৃত্রিম সুখের প্যালেস সাজাতে গিয়ে জীবন থেকে রামধনু হারিয়ে যাচ্ছে না তো? শিশির ভেজা ধানের শীষ হারিয়ে যাচ্ছে না তো?’
বারংবার আর্থিক দিক থেকে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করারই পরামর্শ দিয়েছেন দেবাংশু। কারণ টাকা সারা জীবন থাকে না। বিলাসবহুলজীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে তরুণ প্রজন্ম। হঠাৎ করে টাকা শেষ হয়ে গেলে তখনি ঘিরে ধরে অবসাদ, যা কাটিয়ে উঠতে না পারলেই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে এই প্রজন্ম।
তাই তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও দেবাংশুর পরামর্শ, সন্তানকে ছোট থেকে তুলোয় মুড়ে বড় না করে বরং পাঁচজনের সঙ্গে বড় হতে দিন। আগের মতো মাঠে খেলে বড় হলে শিশুরা মারামারির পাশাপাশি বন্ধুত্বের মানেও বুঝবে। বিলাসিতার জীবন ছেড়ে নাহয় এবার রোদ জল পেয়েই বাঁচুক মানুষ।