বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সামান্য একটি টিফিনের প্যাকেটকে কেন্দ্র করে প্রথমে বাধে ঝামেলা আর পরবর্তীকালে সেই পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে যে, মহিলা বিডিওর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার এবং অশালীন আচরণ করতেও পিছপা হননি অভিযুক্ত! বর্তমানে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমান পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা শক্তিপদ পালের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, গত 13 ই মে পঞ্চায়েত সমিতির একটি বৈঠক চলাকালীন ঘটনাটির সূত্রপাত হয়। বৈঠকে উপস্থিত অন্যান্য সদস্যদের সামনেই সেই মহিলা বিডিওকে কটূ ভাষায় আক্রমণ করেন শক্তিপদ বাবু ওরফে বাবলু। পরবর্তীকালে সেই বিডিও সুবর্ণা মজুমদার ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গিয়েছে, সামান্য একটি টিফিনের প্যাকেট বাড়ি নিয়ে যাওয়া নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। এরপর একাধিক বিষয়ে দাবি-দাওয়া নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন শক্তিপদ পাল এবং সুবর্ণা মজুমদার। সেই সময় অভিযোগকারিণীকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন শক্তিপদ বাবু।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুণ গোলদার বলেন, “গত 13 ই মে বৈঠক চলাকালীন বিভিন্ন বিষয়ে দাবি-দাওয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয় এবং সেই সময় আচমকাই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। এরপর একপ্রকার বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে শক্তিপদ এবং সুবর্ণা। পরবর্তীতে বিডিওর উদ্দেশ্যে বেশ কিছু খারাপ মন্তব্য করে শক্তিপদ, এই ঘটনাটি না ঘটলেও পারতো। তবে এর থেকে বেশি আমি আর কিছু বলবো না। যত দ্রুত সম্ভব, এই বিতর্ক মিটলেই ভালো।”
তবে যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, সেই তৃণমূল নেতা জানান, “আমার বাড়িতে মা, বোন এবং মেয়ে রয়েছে। তাই মহিলাদের সঙ্গে কি রকম ব্যবহার করতে হয়, তা আমি জানি। একটি বৈঠকের তর্ক-বিতর্ক চলতেই পারে, এটা কোন বড় ঘটনা নয়।” এছাড়াও তিনি সুবর্ণা মজুমদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “আমি দশ বছর ধরে এই পদে রয়েছি। এর আগেও একাধিক মহিলা বিডিও ছিলেন এবং সবার সাথেই আমার সুসম্পর্ক ছিল। তবে বর্তমানে যিনি এই পদে রয়েছেন তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছেন।”
শক্তিপদ বাবু জানান, “চার বছর ধরে আমি এলাকায় উন্নয়ন করে চলেছি, কিন্তু এর জন্য কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।” এসকল অভিযোগ আনার পাশাপাশি এদিন টিফিনের প্যাকেট সংক্রান্ত অভিযোগও উড়িয়ে দেন তৃণমূল নেতা।