বাংলাহান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত থেকে উধাও আস্ত অ্যাম্বুলেন্স। আরও’ই চাঞ্চল্যকর সেটির উধাও হওয়ার কারণ। অভিযোগ সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স বিক্রি করে নিজের গাড়ি কিনেছেন তৃণমূল নেতা। বলাই বাহুল্য এহেন ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়ার দিলাকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতে। ২০১০ সালে ওই এলাকার মানুষের সুবিধার্থে নিজের বিধায়ক তহবিল থেকে পঞ্চায়েতকে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেন তৎকালীন বাম বিধায়ক সুদর্শন রায়চৌধুরী। বেশ কিছু বছর পরিষেবাও দেয় অ্যাম্বুলেন্সটি। কিন্তু বছর তিন চারেক আগে হঠাৎ করে রাতারাতি বেপাত্তা হয়ে যায় সেটি। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য পঞ্চায়েতে ফোন করলে সাফ জানানো হচ্ছে দীর্ঘদিন যাবৎ খারাপ হয়ে পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু পঞ্চায়েতের যেখানে সেটি থাকত সেখানেও সেটির দেখা না মেলাতেই বিতর্ক ছড়ায় এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অ্যাম্বুলেন্সটি গায়েব হওয়ার পর পরই নতুন গাড়ি এসেছে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও পরিবহন দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ শেখ আব্দুলের বাড়িতে। অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্স বেচে সেই টাকাতেই নিজের জন্য গাড়ি কিনেছেন তিনি। কিন্তু স্বভাবতই শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে সরাসরি এহেন অভিযোগ তুলতে বা প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি কেউই। পঞ্চায়েত থেকেও কিছুই জানানো হয়নি খোলসা করে। আর এই সমস্ত মিলিয়েই এলাকায় তুঙ্গে উঠেছে চাপানউতর।
যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। শেখ আব্দুলের দাবি, ‘কে বিক্রি করেছে তা জানি না। আমি পঞ্চায়েতের কেউই নই। অভিযোগ যখন উঠেছে তখন খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে আমাকে। আমি যদি দোষী হই তাহলে শাস্তি মাথা পেতেই নেব। অন্যদিকে পুরো ঘটনায় পঞ্চায়েতের ভূমিকা এবং প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে মুখ ঢেকে চম্পট দেন পঞ্চায়েত প্রধান সাগরিকা বড়ুয়া।