বাংলাহান্ট ডেস্ক: ধর্মেন্দ্র (Dharmendra) যেন প্রাণশক্তিতে ভরা এক তেজী ঘোড়া, যে থামতে জানে না। ‘অবসর’ শব্দটি সম্ভবত তাঁর ডিকশনারিতে নেই। ৮৬ তে পা রেখেছেন আর এখনো একই রকম উদ্যম নিয়ে কাজ করে চলেছেন তিনি। আগামীতে করন জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে। কিন্তু ধর্মেন্দ্র কখনো ভাবেননি যে ৮০ পেরিয়েও তিনি কাজ করবেন বা কাজ পাবেন।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান অভিনেতার ছোট ছেলে ববি দেওল বাবার সঙ্গে একটি কথোপকথনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। সেখানে ববি জানান, ধর্মেন্দ্র ভাবেননি যে ৭০ বছর বয়সের পরেও তিনি কাজ করতে পারবেন।
সাক্ষাৎকারে ববি দেওল বলেন, “একবার বাবা আমাকে বলছিলেন, ‘আমি ভাবতাম যে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করব। হয়তো তারপর আর কাজ পাব না, বা কাজ করতে পারব না। আর আজ আমি ৮৬ বছরের হয়ে গিয়েছি আর এখনো কাজ করে চলেছি’।”
ববি বলেন, ওই অনুভূতিটা তাঁর কাছে খুব স্পেশ্যাল ছিল। বাবার এই কথাগুলোই তাঁকে অনুপ্রেরণা দেয়। অভিনেতার কথায়, “আমি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কাজ করতে চাই। কারণ আমরা অভিনেতারা এমনি। আমরা কাজ করে যেতে চাই। আমাদেৎ পরিবারে আমার বাবাই সবথেকে বড় অনুপ্রেরণা। আমি যখন জীবনে হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম তখন আমার বাবার কথা মনে হয়নি। এখন আমি নিজের চারপাশের লোকজনের উপরে নির্ভর করি। আমার বাবা, দাদা, ভাই বোনেরা সবাই কাজ করছে।”
কিছুদিন আগে শুটিং করতে গিয়ে পিঠের পেশিতে টান ধরে ব্যথা পেয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিছুদিন সেখানে কাটিয়ে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর কিছু উপলব্ধি হয়েছে অভিনেতার। ভিডিও বার্তায় সেই উপলব্ধির কথা শেয়ারও করেছেন তিনি।
ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘বন্ধুরা কোনো কিছুরই বাড়াবাড়ি ভাল নয়। আমি করেছিলাম আর ফলস্বরূপ পিঠের পেশিতে টান পড়ে ভয়ঙ্কর ব্যথা সহ্য করেছি। তাই দু চার দিনের জন্য আমাকে হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। সময়টা কঠিন ছিল। তবে আপনাদের শুভেচ্ছা বার্তায়, তাঁর আশীর্বাদে আমি বাড়ি ফিরে এসেছি। তাই চিন্তা করবেন না। এখন থেকে আমি সাবধানে থাকব। সবাইকে ভালবাসা।’
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট