তীব্র গরমে মায়ের সাথে খালি পায়ে আদালতে এসেছিল শিশু! মানবিক বিচারক কিনে দিলেন নতুন জুতো

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দ্রুতহারে পাল্টে যাচ্ছে সবকিছু। তার সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে মানুষের মানসিকতারও। গতিশীল দুনিয়ার ইঁদুর দৌড়ে সামিল হতে গিয়ে কোথাও যেন সঙ্কীর্ণতার গভীরে প্রবেশ করছে মানুষের মন। আর যার ফলে স্বার্থপরতা এবং হিংসার মত ঘটনাগুলি ক্রমশ বাড়ছে। পাশাপাশি, এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে সমাজ-সভ্যতাতেও।

যদিও, সকলেই যে একইসাথে পাল্টে যাচ্ছেন তা কিন্তু নয়। বরং, ব্যক্তিবিশেষে এক্ষেত্রে তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। অর্থাৎ, সমাজে এমন কিছু মানুষও থাকেন যাঁদের উন্নত ভাবনা-চিন্তা এবং অপরকে সাহায্য করার মানসিকতার ওপর ভর করেই আপাতত এগিয়ে চলেছে সবকিছু। বর্তমানেও ঠিক সেইরকমই এক ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে এসেছে।

মূলত, হরিয়াণার ফতেহাবাদে জেলা ও দায়রা জজ ডি আর চালিয়ার আদালতে সম্প্রতি এক নজিরবিহীন ঘটনার খোঁজ মিলেছে। জানা গিয়েছে যে, বিচারক ডি আর চালিয়া যখন একটি মামলার শুনানি করছিলেন, তখন ঐ মামলায় তোহানা থেকে আদালতে হাজিরা দিতে আসেন দুই মহিলা। পাশাপাশি, তাঁদের সঙ্গে এক শিশুও ছিল।

সেই সময়েই বিচারক লক্ষ্য করেন যে, খালি পায়েই আদালতে এসেছে শিশুটি। আর তা দেখেই তিনি অবাক হয়ে যান। পাশাপাশি, এই প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে কিভাবে ওই শিশুটি এতদূর খালি পায়ে হেঁটে এল তা নিয়ে প্রশ্নও করেন তিনি। শুধু তাই নয়, সঙ্গে সঙ্গে বিচারক শিশুটির জন্য নতুন জুতো আনতে বলেন এবং সেই জুতো তাকে পরিয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে, বিচারকের এহেন মনোমুগ্ধকর আচরণ খুব সহজেই জিতে নেয় সকলের মন। পাশাপাশি, এই ঘটনার মাধ্যমে অসহায় শিশুদের সাহায্য করা আমাদের যে অবশ্যই কর্তব্য তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিকে, এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে বিচারকের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সকলে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর