১ নাম্বারের জন্য বোর্ডের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিল ছাত্র! ৩ বছর পর বাড়ল ২৮ নাম্বার

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বোর্ডের চূড়ান্ত পরীক্ষা প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ, এই পরীক্ষার ওপর ভর করেই নির্ধারিত হয় তাদের ভবিষ্যৎ। কিন্তু অনেক সময় বোর্ড পরীক্ষার ফলাফলেও বিভিন্ন ভুল-ভ্রান্তির খবর আমরা শুনতে পাই। আর যার ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরাও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। এমতাবস্থায়, ফলাফল পুনর্বিবেচনার ক্ষেত্রে সময়ও লাগে অনেক। ঠিক সেইরকমই এক ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের শান্তনু শুক্লার সঙ্গে।

বোর্ডের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই লড়েছে শান্তনু:
জানা গিয়েছে যে, শান্তনুকে তাঁর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মার্কশিটে মাত্র ১ নাম্বার বাড়াতে গিয়েই দীর্ঘ লড়াই করতে হয়। মূলত, শান্তনু ২০১৮ সালে বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৭৪.৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। কিন্তু মাত্র ১ নম্বরের কারণে মুখ্যমন্ত্রী মেধাবী যোজনার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় পড়ে সে। এমতাবস্থায়, রি-টোটালিংয়ের জন্য আবেদন করলেও তার ফলাফলের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

২৮ নাম্বার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত:
শেষ পর্যন্ত, ১ নাম্বার বাড়ানোর জন্য শান্তনু আদালতের দ্বারস্থ হয়। এদিকে, তিন বছর আদালতে মামলা লড়ার পর এখন শান্তনুর মার্কশিটে ২৮ নাম্বার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট আদালত। মূলত, শান্তনুর খাতা পুনরায় পরীক্ষা করার জন্য বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আর সেখানেই বাড়ে এই নাম্বার। যার ফলে নতুন মার্কশিটে শান্তনুর নাম্বার বেড়ে হয়েছে ৮০.৪ শতাংশ।

৩ বছরে ৪৪ বার আদালতে যেতে হয়:
জানা গিয়েছে যে, এই মামলা চলাকালীন শান্তনুকে ৩ বছরে মোট ৪৪ বার আদালতে হাজির হতে হয়। শুধু তাই নয়, এই পুরো ঘটনায় শান্তনুকে খরচ করতে হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। মূলত, করোনা মহামারির কারণে সিদ্ধান্তে আসতে দীর্ঘ সময় লেগেছে বলেই জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে শান্তনু জানিয়েছে যে, সে এখন মুখ্যমন্ত্রী মেধাবী যোজনার জন্য আবেদন করবে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর