লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকদের সম্মান জানাতে অনুষ্ঠানের আয়োজন তৃণমূলের, গ্রামবাসীরা চালাল ভাঙচুর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আয়োজন করা হয়েছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকদের সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানেই স্থানীয় গ্রামবাসীদের এলাকায় রাস্তা করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ। তুমুল উত্তেজনা, ভাঙচুর মেমারি থানার আমাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিজরা তৃণমূল মহিলা কমিটির উদ্যোগে বিজরা গ্রামে আয়োজন করা হয়েছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্ত মহিলাদের সম্মান সভা। উপস্থিত ছিলেন আমাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, উপ প্রধান সহ একাধিক আমন্ত্রিত। সভার মাঝেই হঠাৎ করে কিছু গ্রামবাসী এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তেজনা পৌঁছয় চরমে। ভাঙচুর করা হয় অনুষ্ঠানের চেয়ার, টেবিল। গ্রাম প্রধান, উপ প্রধানকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকালে বিজরা গ্রামে লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে প্রাপকদের সম্মান প্রদর্শনের জন্য বিজরা বাড়োয়ারি তলাতে একটি সভার আয়োজন করা হয়। এই সভার আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় মহিলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সভায় উপস্থিত ছিলেন আমাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান সহ গ্রামের দুই মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যা। অভিযোগ, সভা শুরুর সময়ই একদল গ্রামবাসী হঠাৎই এসে গ্রামে পাকা রাস্তা তৈরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সভায় থাকা চেয়ার ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি মহিলা প্রধান, উপপ্রধান ও দুই মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যাকে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ‘আমাদের বিধায়ক বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কোনও কাজ হয়নি। নির্বাচনের আগেই রাস্তা করে দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে রাস্তা আজও হয়নি। আজকে বিধায়কের এই অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি ভয়ে আসেননি। আমাদের মুখোমুখি হতে হবে বলে তাঁর দেখা নেই। সেই কারণেই আজকে আমরা এখানে প্রতিবাদ দেখাচ্ছি।

আমাদপুর পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, তাঁদেরকে হেনস্থা করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা যে রাস্তার দাবি জানাচ্ছে সেই রাস্তার জন্য সমস্ত প্রক্রিয়াকরণ প্রস্তুত করা আছে। শুধুমাত্র সরকারি তহবিল থেকে টাকা এলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। মেমারি বিধানসভার বিধায়ক তথা মেমারি ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মধূসুদন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘গ্রামবাসীদের দাবি অন্যায় নয়, তবে দাবি আদায়ের পদ্ধতি ঠিক নয়, এটা নিন্দনীয়। কিছু টাকা আছে, বাকি টাকা সরকার থেকে পেলেই কাজ শুরু হবে। সেটা গ্রামবাসীরা অপেক্ষা করতে রাজী নয়।’


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর