বাংলাহান্ট ডেস্ক : একুশের বিধানসভা ভোটের পর ভোটকৌশলীর কাজ থেকে বিরতি নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সোনিয়ার সঙ্গে একাধিক বৈঠক সারলেও কিন্তু শেষপর্যন্ত কংগ্রেসে যোগদানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন পিকে।
তবে, এবার কেবলমাত্র ভোটকুশলীর ভূমিকা ছেড়ে বেরিয়ে আসাই নয়, ফের একবার কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রশান্ত কিশোর। কংগ্রেসের প্রস্তাব নাকচ করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ”কংগ্রেস আমার ট্র্যাক রেকর্ড খারাপ করেছে।” তাঁর এই মন্তব্য নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে দেশের রাজনীতিতে। সোমবার ভোটকুশলী পৌঁছেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা রঘুবংশ প্রসাদ সিংয়ের পৈতৃক ভিটেতে। সেখানে জন সূরজ যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, ”এখনও পর্যন্ত আমি একটিই মাত্র নির্বাচনে পরাজিত হয়ছি। আর সেটি হল উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। যেখানে কংগ্রেসের হয়ে ভোটকুশলী হিসেবে নিযুক্ত ছিলাম। কিন্তু, ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যে ক’টি নির্বাচনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলাম, তার কোনওটিতেই হারিনি।” এরপরই হাত শিবিরের দিকে তোপ দেগে বলেন, ”এই রাজনৈতিক দল আমাকেও ডুবিয়ে দেবে।” প্রশান্ত কিশোরের এই বক্তব্যতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, তিনি ঠিক কী কারণে কংগ্রেসে যোগ দেননি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রশান্ত কিশোর সম্প্রতি বিহারের বর্তমান ব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে বিহারবাসীর জন্য ‘জন সূরজ’ নামের এক সংস্থা তৈরী করেছেন। নিজের রাজ্যের রাজনৈতিক অবস্থা ক্রমাগত তলানিতে কেন ঠেকছে তার বর্ণনা পিকে আগেও দিয়েছিলেন। তার কথায়, বিহারের রাজনীতিতে ১৯৬৭ থেকে ১৯৯০ অর্থাৎ এই ২৩ বছর ছিল অস্থির এক সময়। তিনি নিজের চোখে সেই সময়ে ২০ টিরও বেশি সরকারের পরিবর্তন দেখেছিলেন বলে উল্লেখ করেন।
কিছুদিন আগে পর্যন্তও ভোটকুশলীর কংগ্রেসে যোগদানের জল্পনা দানা বেঁধেছিল জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। কিন্তু, সেই জল্পনায় যবনিকা টেনে দিয়েছিলেন ভোটকুশলী পিকে নিজেই। এবার পিকের নয়া বক্তব্য যেন আরোও স্পষ্ট করে তুলল যে, ‘হাত’ শিবিরের সঙ্গে ‘হাত’ মেলাচ্ছেন না পিকে।