রূপঙ্করের পাশে নচিকেতা, ‘কেকে’র প্রসঙ্গে মুখ খুলতেই ধেয়ে এল কটাক্ষ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেকে নেই। ৩১ শে মে নজরুল মঞ্চে ছিল তাঁর জীবনের শেষ কনসার্ট। না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন কেকে। রেখে গিয়েছেন নব্বইয়ের দশকের একরাশ উন্মাদনা। এখনও শিল্পী থেকে সাধারণ মানুষ, কেউই বিশ্বাস করতে পারছেন না, কেকে নেই। ওই কনসার্টের লাইভ চলাকালীন রূপঙ্কর বাগচী একটি লাইভ করেন। সেই লাইভ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। রূপঙ্করের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিল্পী থেকে সাধারণ মানুষ। কিন্তু রূপঙ্করের ভাবনা-চিন্তার এবং অনুভূতির পাশে এসে দাঁড়ালেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী।

রূপঙ্কর প্রসঙ্গে এই গায়ক বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ও (রূপঙ্কর) কেকে-কে কোনও ভাবেই ব্যক্তি আক্রমণ করতে চায়নি। ও শুধু একটা অভিমানের কথা বলতে চেয়েছে। বাঙালি শিল্পী যখন অন্য রাজ্যে যায়, তখন কয় টাকা পারিশ্রমিক পায়! আর বম্বের শিল্পী এখানে এলে কত পায়! সাধারণ মানুষ এসব জানেন না। অভিমানটা আছে, থাকবে। থাকাটাই স্বাভাবিক। রূপঙ্করও আমার থেকে ছোট। ছোটদের অভিমান অনেক বেশি। ওরা বাংলার কথা বলতে চায়। বাংলা সংস্কৃতিকে ওরা আন্তর্জাতিক করতে চায়। কিন্তু কষ্ট লাগে তখন, যখন দেখি, রূপঙ্কর যাদের হয়ে কথাটা বলল, আজ তারাই ওর পাশে নেই! এটা ঠিক হলো না। রাঘব, ইমনদের তো ওর পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। ’

   

‘নীলাঞ্জনা’র গায়কের কথায়, রূপঙ্করের অভিমানকে যদি আমরা বুঝতে না পারি, তাহলে তো ধরে নিতে হবে, আমাদের অনুভূতি বোধটাই চলে গেছে। তিনি আরো বলেন, ‘রাজার মতো মৃত্যু হয়েছে কেকের। এমন মৃত্যুই তো সকলে চায়। আমরা শিল্পীরা আসলে জনসমুদ্রে মিশে যেতে চাই। ওই ভিড়ে পিষ্ট হতে চাই। ভিড়ের চাপে মরে যেতে চাই। ওখানেই তো শিল্পীর সার্থকতা। শ্রোতাদের ভিড়ে এক জন শিল্পী মিশে গিয়ে জীবনের শেষ গান শোনাচ্ছেন, এটাই শিল্পীর স্বপ্ন।’ তার আরও সংযোজন, ‘আমি গত ৩০ বছর ধরে এই জনসমুদ্রে মিশছি। দুর্ভাগ্য, কেকে-র মতো মৃত্যু হল না। ’

সবশেষে তিনি জানান, ‘একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তাতে রূপঙ্কেরের কোনো দোষ নেই। হ্যাঁ, আমি নচিকেতা বলছি। আমি রূপঙ্করের পাশে আছি।’ তবে, কেকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ তিনিও। বাঙালির কাছে কেকে- র জনপ্রিয়তা দেখে সত্যি মুগ্ধ তিনি।তবে, রূপঙ্করের ভাবনা-চিন্তার এবং অনুভূতির পাশে এসে দাঁড়ানোর জেরেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়লেন নচিকেতাও।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর