ইডির সম্মুখে হাজিরা দিচ্ছেন না রাহুল গান্ধী, চাইলেন সময়! বিদেশে রয়েছে বলে দাবি কংগ্রেসের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত একটি বড় ধরনের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। কিন্তু হাজির হতে বলার একদিন পর কংগ্রেসের দলীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে রাহুল গান্ধী বর্তমানে বিদেশ সফর এবং ৫ জুন রয়েছে দেশে আসার সম্ভাবনা।

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একটি গোপন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ‘রাহুল গান্ধী ১৯ মে লন্ডনে বিভিন্ন জনসাধারণের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেশের বাইরে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল ২০মে থেকে ২৩ মে৷ তারপর থেকে তিনি এখনও ভারতে ফিরে আসেননি। রাহুল গান্ধী ৫ জুনের মধ্যে দেশে ফিরে আসবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তারপরে তিনি আর্থিক দুর্নীতির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির কাছে অন্য একটি তারিখ চাইবেন।’

ইডি তলব করে সনিয়া গান্ধীকেও। ৮ জুন ইডির একটি অফিসিয়াল সমনে সংস্থার সামনে উপস্থিত হতে বলা হয়। রাহুলকে তদন্তে যোগ দিতে বলা হয় ২ জুন। কিন্তু প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি ৫ জুনের পরে একটি সময় চেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। বুধবার তিনি দেশে নেই বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ইডির সমনের বিষয়ে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়, ‘ব্রিটিশ এবং তাদের অত্যাচারেকেও ভয় পায়নি কংগ্রেস, তখন ইডির নোটিশ কীভাবে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস দলের সাহস ভেঙে দিতে পারে। আমরা লড়াই করবই… আমরা জিতবই… আমরা মাথা নত করব না…আমরা ভয় পাব না।’

বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর করা ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলাটি বেশ পুরনো। তাঁর অভিযোগ ছিল, সম্পত্তির হাতবদলে লাভবান হয়েছেন সনিয়া, রাহুল। ২০১৫ সালে মামলাটি প্রথমবার গুটিয়ে নেয় ইডি। কিন্তু বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে নতুন করে তদন্ত শুরু হয় ২০১৮ সাল থেকে। সেই মামলায় এতদিন পর হঠাৎ করে গান্ধী পরিবারের দুই শীর্ষ সদস্য তথা কংগ্রেসের প্রধান দুই কাণ্ডারিকে নোটিস ধরানোর সিদ্ধান্তের পিছনে রাজনীতির নানা অংক রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর