বাংলা হান্ট ডেস্কঃ 2011 সালে প্রথমবারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস দল এবং মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকে 2016 সাল এবং 2021 সালে পুনরায় তৃতীয়বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল দল। এক্ষেত্রে বঙ্গে ক্ষমতায় আসার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রাম কাহিনী প্রতিটি বাঙালিরই জানা। যে ভাবে দিনের পর দিন অনশনের মাধ্যমে সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামে কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়ার জন্য আন্দোলন করেছিলেন তিনি, তা প্রশংসার দাবি রাখে।
উল্লেখ্য, এদিন ভবানীপুরের শীতলা মন্দিরে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কলেজ জীবনের কথা তুলে ধরেন। কিভাবে এক প্রকার বিনা পয়সায় পাড়ার স্কুলে ছোট ছেলে মেয়েদের শিক্ষা দান করতেন, এ বিষয়ে মন্তব্য করেন তিনি। কলেজ জীবনের স্মৃতি চারণায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার কলেজ জীবনের কথা স্পষ্ট মনে আছে। সেই সময় আমি একপ্রকার বিনা পয়সাতেই ছোট ছেলেমেয়েদের শিক্ষাদান করতাম। আমার বাবা তখন মারা গিয়েছিল। তাই কলেজে পড়াশোনা করতে করতেই আমি ভবানীপুরের একটি স্কুলে পড়ানোর কাজ করতাম এবং সেখানে যে 60 টাকা মাইনে পেতাম, সেটা মায়ের হাতে তুলে দিতাম।”
এছাড়াও এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে উঠে আসে বাংলার সম্প্রীতি এবং সিঙ্গুর প্রসঙ্গ। ভবানীপুরের বুকে সম্প্রীতির কথা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, “ছোটবেলায় যখন কলকাতা জুড়ে দুর্গাপুজো এত বড় করে পালিত হতো না, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ভবানীপুরের একাধিক জায়গায় ধুমধাম করে পালন করা হতো দুর্গোৎসব। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই সেখানে যোগ দান করতেন। বর্তমানে এখানে যেমন মন্দির-মসজিদ রয়েছে, ঠিক তেমনি ভাবে গুরুদ্বারও রয়েছে এবং মানুষ ভক্তি সহকারে সেখানে পুজো দিতে যান।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সিঙ্গুর আন্দোলনের সঙ্গে সন্তোষী মায়ের যোগসুত্র তুলে ধরেন ভবানীপুর বাসীর সামনে। তিনি বলেন, “সিঙ্গুরে কৃষকদের সঙ্গে অবিচার হয়েছিল আর তাদের হয়ে আন্দোলনের সময়ে আমি 26 দিন ধরে অনশনে বসেছিলাম। আন্দোলন চলাকালীন শুরু থেকেই আমি মা সন্তোষীর ব্রত করি। সেই সময় আমি এক প্রকার স্থির করে নিয়েছিলাম যে, যদি কৃষকদের জন্য আমার এই আন্দোলন সফল হয় তাহলে মায়ের একটি ছোট মন্দির গড়ে তুলবো।”