বাংলাহান্ট ডেস্ক: সময়টা বেশ খারাপ যাচ্ছে অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar)। গত ছবিটির ভরাডুবি হয়েছে বক্স অফিসে। ‘পৃথ্বীরাজ’ (Prithviraj) ছবিটি নিয়ে যাও বা একটু প্রত্যাশা তৈরি করেছিল দর্শক মহলে। কিন্তু প্রথম দিনে যা বক্স অফিস সংগ্রহ দেখা গেল তাতে একটু মুষড়েই পড়েছেন অক্ষয় অনুরাগীরা।
মুক্তির আগে অবশ্য কম সমস্যায় পড়তে হয়নি ‘পৃথ্বীরাজ’কে। প্রথমে ছবির নাম রাখা হয়েছিল শুধু পৃথ্বীরাজ। পরে কর্ণি সেনার প্রবল আপত্তিতে তা বদলে হয় ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’। তবে সমস্যার এখানেই শেষ হয়নি। মুক্তির ঠিক দু দিন আগেই ছবি নিয়ে আইনি জটিলতা পৌঁছে গিয়েছিল আদালতে।
দিল্লি হাই কোর্টে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে। গুর্জর সমাজ সর্ব সংগঠন পিটিশন দাখিল করেছিল প্রযোজনা সংস্থা যশ রাজ ফিল্মস এবং পরিচালক চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদীর বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ ছিল, ছবিতে সম্রাট পৃথ্বীরাজ চৌহানের মতো একটি ঐতিহাসিক চরিত্রকে ভুল ভাবে দেখানো হয়েছে।
সম্রাট পৃথ্বীরাজ ছিলেন গুর্জর সম্প্রদায়ের। কিন্তু ছবিতে তাঁকে দেখানো হয়েছে একজন রাজপুত রূপে। তবে যশ রাজ ফিল্মসের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, এই ছবি জাতপাত নিরপেক্ষ। সম্রাট পৃথ্বীরাজকে গুর্জর বা রাজপুত কোনো সম্প্রদায়ের মানুষ হিসাবেই দেখানো হয়নি ছবিতে। বরং তাঁকে একজন ভারতীয় বীর যোদ্ধা হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতিদের বেঞ্চ পিটিশন খারিজ করে দেয়। ৩ রা জুন মুক্তি পায় সম্রাট পৃথ্বীরাজ। প্রথম দিনে সারা দেশের নিরিখে প্রায় ১১ কোটি মতো তুলতে পেরেছে এই ছবি। বলা বাহুল্য, অঙ্কটা একেবারেই চমকপ্রদ নয়। কিছুদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ভুলভুলাইয়া ২’ এর থেকে ভাল ফল করেছিল।
ফিল্ম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহান্তে সম্ভবত আরেকটু ভাল ফল করতে পারে পৃথ্বীরাজ। পাঁচটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে করমুক্ত করা হয়েছে অক্ষয়ের ছবিকে। উত্তর প্রদেশের সিঙ্গল স্ক্রিনগুলিতে ভালোই চলছে পৃথ্বীরাজ। রাজস্থান এবং মধ্য ভারতেও দ্রুত ব্যবসা করছে ছবিটি। তবে মহারাষ্ট্র এবং দক্ষিণ ভারতে একেবারে ধরাশায়ী অক্ষয়।