‘টুকে’ বানানো ‘অপরাজিত’! ক্ষতিপূরণ চেয়ে অনীক দত্তদের আইনি নোটিস প্রযোজনা সংস্থার

বাংলাহান্ট ডেস্ক: কিছুদিন আগে পর্যন্তও জয়জয়কার শোনা যাচ্ছিল ‘অপরাজিত’র (Aparajito)। পরিচালক অনীক দত্তর (Anik Dutta) ছবির বিষয়বস্তু আর জিতু কামালের অনবদ‍্য অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল।  লক্ষ্মীর মুখও দেখেছিলেন পরিচালক প্রযোজকরা।

কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই বিপত্তি। অপরাজিতর কাহিনি ‘চুরি করা’ বলে অভিযোগ তুলে নির্মাতাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিল সাধু ব্রাদার্স এনটারটেনমেন্ট প্রোডাকশন হাউস। প্রযোজনা সংস্থাটি দাবি করেছে, তারা ইতিমধ‍্যেই কিংবদন্তি পরিচালক সত‍্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালি’ তৈরির নেপথ‍্যের কাহিনি পর্দায় তুলে ধরছিলেন।

FB IMG 1650628485817 4
ভাবনাটা প্রথম তাদের মাথাতেই নাকি এসেছিল। ২০১২ সাল থেকে চলছিল ছবির শুটিং। কিন্তু টাকার অভাবে মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায় কাজ। এর মধ‍্যেই সেই ভাবনা নাকি ‘চুরি’ করে অপরাজিত বানিয়ে ফেলেন অনীক দত্ত। সে ছবি মুক্তির পর ভাল ব‍্যবসাও করে। অন‍্যদিকে এত বছরের পরিশ্রম নষ্ট হওয়ায় ক্ষতির মুখে প্রযোজনা সংস্থা।

এই ভাবনা ‘চুরি’র বিষয়টি প্রথম সবার সামনে আনেন কুণাল ঘোষ। তিনিই দাবি করেন, ২০১২ থেকে ছবির শুটিং চলছে। কাজ করছেন এ রাজ‍্যেরই সংষ্কৃতি মনস্ক কিছু পুলিসকর্মী। প্রচারের অভাবে আসল টিম কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। অপরাজিত কি আদৌ মৌলিক ভাবনা? দুটো ছবির থিম যে এক, এটা কি জেনে নাকি না জেনে? প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।

পালটা পরিচালক অনীক দত্ত প্রশ্ন তুলেছেন, যারা দাবি করছেন তাদের থেকে আগে অভিযোগের প্রমাণ চাওয়া হোক। এভাবে তো যে কেউ বলতে পারে অন‍্যজন চুরি করেছে। প্রমাণ কোথায়? এই মূর্খতায় তিনি অংশ নেবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন অনীক দত্ত।

উল্লেখ‍্য, ইতিমধ‍্যেই অপরাজিতর পরিচালক এবং প্রযোজকদের আইনি নোটিস পাঠিয়েছে সাধু ব্রাদার্স এনটারটেনমেন্ট প্রোডাকশন হাউস। নির্মাতাদের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। শনিবার অপরাজিতর নির্মাতাদের আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর