বাংলাহান্ট ডেস্ক: কেউ তাঁকে ভালবাসে, কেউ আবার ঘৃণা করে। কিন্তু দেশ এবং দেশের বাইরে সলমন খানের (Salman Khan) জনপ্রিয়তা দেখার মতো। কিন্তু আজ তাঁর যত ঠাঁটবাট, যত জৌলুস এসব কিছুই হত না। কেরিয়ার ডুবতে বসেছিল সলমনের। নবাবি চাল তো দূরের কথা, হাতে টাকা পয়সা কিচ্ছু ছিল না। কীভাবে কেরিয়ার বাঁচালেন, সম্প্রতি সে কথাই নিজের মুখে জানান ভাইজান।
এই মুহূর্তে আবু ধাবিতে রয়েছেন সলমন। সেখানে ২২ তম আইফা অ্যাওয়ার্ডস শোয়ের সঞ্চালনা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেখানেই কেরিয়ারের শুরুর দিককার স্ট্রাগলের কথা মনে করে চোখে জল চলে আসে সলমনের। তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার বাঁচিয়ে দেওয়ার জন্য প্রযোজক বনি কাপুরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
সলমন বলেন, “উনি আমাকে সারা জীবন ধরে সাহায্য করে গিয়েছেন। বনি কাপুর আমাকে ‘ওয়ান্টেড’ ছবিটি দিয়েছিলেন। তারপর উনি আমাকে আরেকটি ছবি দেন ‘নো এনট্রি’। সেটা দিয়ে অনিল কাপু্র কামব্যাক করেন। বনি জি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন যার জন্য আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব।”
শুধু বনি কাপুর নন, সুনীল শেট্টি এবং পরিচালক রমেশ তুরানির প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সলমন। তিনি সেলিম খানের ছেলে। কিন্তু সে সময়ে নেপোটিজমের বাড়বাড়ন্ত ছিল না বলিউডে। নিজের পায়ের তলার মাটি নিজেকেই শক্ত করতে হয়েছে সলমনকে।
এক্কেবারে শুরুর দিকে তাঁর কাছে টাকাই থাকত না। সে সময়ে সুনীল শেট্টির ‘মিসচিফ’ নামে দোকানে একটি জিন্স, বুট আর পার্স খুব পছন্দ হয়েছিল তাঁর। কিন্তু সেসব কেনার মতো সামর্থ্য ছিল না সলমনের। সুনীল বুঝেছিলেন তাঁর মনের কথা। তাই সলমনকে নিজে থেকেই উপহার দিয়েছিলেন অভিনেতা। সে কথা এখনো মনে রেখেছেন সলমন।
‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’, যে ছবিটি এত হিট হয়েছিল সেই ছবির পর ৬ মাস কোনো কাজ ছিল না ভাইজানের কাছে। ম্যায়নে পেয়ার কিয়ার জন্য সমস্ত প্রশংসা পেয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী। তারপরেই তিনি অভিনয় ছেড়ে দিন। এদিকে সলমনের কাজের অভাব। তখন রমেশ তুরানিই দেবদূতের মতো এসে তাঁকে ‘পাত্থর কে ফুল’ ছবিতে কাস্ট করেন। সে সব কিছুই এত বছর পরেও মনে রেখে দিয়েছেন কৃতজ্ঞ সলমন।