বাংলাহান্ট ডেস্ক: যে কেকে র (KK) লাইভ পারফরম্যান্স দেখার জন্য মুখিয়েছিল কলকাতাবাসী, ৩১ মে তে সেই উন্মাদনা বদলে যায় হাহাকারে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও কেকের অনুষ্ঠানের টিকিট এর জন্য শোরগোল পড়ে গিয়েছিল নেটমাধ্যমে। অনুরাগীরা ভাবতেও পারেননি সেই কেকে কে শেষ দেখা সামনে থেকে। আর কোনোদিনই মঞ্চে উঠবেন না কেকে। গেয়ে উঠবেন না জনপ্রিয় সব গান। যে গানগুলো শুনে দিন কাটিয়েছে গোটা এক প্রজন্ম।
কেকের চলে যাওয়ার ব্যথাটা বড় বেশি করে বাজছে ভক্তদের বুকে। আরো বেশি যন্ত্রণায় রয়েছে কলকাতাবাসী। প্রিয় গায়ককে নিজের শহর থেকেই বিদায় দিতে হল, এটা এখনো মানতে পারছেন না কেউই। কেকে কে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন অনেকেই। তবে কলকাতার একদল শিল্পী যে আয়োজন করেছিলেন সম্প্রতি তা সত্যিই নজিরবিহীন।
প্রায় ১০০ জন শিল্পী সম্প্রতি একজোট হয়েছিলেন নন্দনের সামনে। সবার হাতেই গিটার। একসঙ্গে সবাই সুর তুলে গেয়ে ওঠেন ‘পল’। কেকের কেরিয়ার শুরু হয়েছিল এই অ্যালবাম দিয়েই। নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানে এই গানটি গেয়েই অনুষ্ঠান শেষ করেছিলেনন কেকে।
তাই ১০০ জন শিল্পী সেই আইকনিক গান গেয়েই শ্রদ্ধা জানালেন কেকে কে। টিম বি গার্ডেন বাস্কার্স সংগঠনের দায়িত্বে থাকা শান্তনু এই গোটা কর্মকাণ্ডের আয়োজন করেছিলেন। কেকের গান শুনে বড় হয়েছে একটা গোটা প্রজন্ম। কেকে কে, সেটা জানে নব্বইয়ের দশকের প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ে।
এমন একজন কিংবদন্তি এভাবে চলে যাবেন তা কেউই ভাবতে পারেননি। তাই শান্তনু আহ্বান জানিয়েছিলেন সকলকে, কেকে কে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। তিনি জানিয়েছিলেন, গিটার ছাড়া কোনো বাদ্যযন্ত্র আনা হবে না। তবে গিটার বাজানো বা গান গাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। শুধু সঙ্গে থাকবেন। একই সঙ্গে কেকের একটিই গান গেয়ে উঠবেন সকলে।
অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছিল। গত রবিবার একে একে নন্দনে এসে জড়ো হন শতাধিক মানুষ। গিটার আর গানের সুরে গমগম করে ওঠে নন্দন চত্বর। শ্রদ্ধা, ভালবাসায় একটাই গান গেয়ে ওঠেন উপস্থিত সকলেই। কে কেকে? বুঝিয়ে দিল কলকাতাবাসী।