আদিবাসী গণবিবাহে ধামসা মাদলের ছন্দে পা মেলালেন মমতা, করলেন নব দম্পতিদের আর্শীবাদও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এ এক অন্য মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ সফরে এসে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপে ধরা দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। মঙ্গলবার হাসিমারায় এক গণ বিবাহের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নাচের ছন্দে পাও মেলালেন। ধামসা মাদলের তালে কয়েক মুহূর্তের জন্যে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেলেন তিনি।

সুভাষিণী ময়দানে আদিবাসী সমাজের গণবিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পাঁচ শতাধিক তরুণ-তরুণীর চারহাত এক হওয়ার এক শুভক্ষণের সাক্ষী থাকলেন মমতা। রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার ৫১০ জন ছেলে-মেয়ের গণবিবাহের একটি অনুষ্ঠান হয়।

মুখ্যমন্ত্রী এ দিনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আদিবাসী নবদম্পতিদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের আশীর্বাদও করেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েকজনের হাতে তুলে দেন সামান্য উপহার। ওই অনুষ্ঠানে পাত্রীদের হাতে রূপশ্রীর ২৫ হাজার করে টাকা দেন তিনি। এ ছাড়াও পোশাক, বিছানা-সহ আরও নানা রকম উপহার সামগ্রীও বিতরণ করেন তিনি। একই সঙ্গে মঞ্চে উঠে ধামসা-মাদলের তালে পাও মেলান মুখ্যমন্ত্রী।

আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের কর্মীসভায় গণবিবাহ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৫১০ জনের বিয়ের ব্যবস্থা করা খুব সহজ ব্যাপার নয়। আপনারা ওই অনুষ্ঠানে এলে আমি খুব খুশি হব’। এই অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে নতুন জীবন শুরুর মুখে মুখ্যমন্ত্রী আশীর্বাদ পেয়ে আপ্লুত হয়ে ওঠেন নববিবাহিতারা।

এ দিন আদিবাসী উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস আদিবাসী ঘরের মেয়েরা অলিম্পিক্সে সোনা জিতে আসবার ক্ষমতা রাখে। ঝাড়গ্রামে তীরন্দাজি প্রশিক্ষণের অ্যাকাডেমি করেছি। কলকাতায় আদিবাসী ভবন তৈরি করা হয়েছে আপনাদের থাকার জন্য। কালম্পিঙেও আদিবাসী ভবন তৈরি করা হয়েছে। বিরসা মুণ্ডার জন্মদিন ছুটি দিয়েছি। মাঝি থান, জহর থান তৈরি করছি। আপনাদের সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা দেবার জন্য তৈরি আছে।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর