বাংলাহান্ট ডেস্ক: মেঘে মেঘে বেলা কম হল না। ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ থেকে ‘দিলওয়ালে’ পর্যন্ত একটা লম্বা রাস্তা পেরিয়ে এসেছেন কাজল (Kajol)। কিন্তু তাঁর আগের প্রাণখোলা মেজাজটা এখনো রয়ে গিয়েছে। অভিনেত্রী হিসাবেও অনেকটা পরিণত হয়েছেন কাজল। তবে এতদিন বাদে জানা গেল, তিনি আদৌ অভিনেত্রী হতেই চাননি।
খুব শীঘ্রই মরাঠি টেলিভিশন শো ‘কৌন হোনার ক্রোড়পতি’তে আসতে চলেছেন কাজল এবং তাঁর মা বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তনুজা। সেই শোতেই কাজল জানান, তিনি অভিনেত্রী হতে চাননি। একটি সাধারণ চাকরি চেয়েছিলেন যেখানে মাসের শেষে মাইনে পাবেন। কিন্তু তাঁর ভবিতব্য ছিল অভিনেত্রী হওয়া।
শোতে এসে কাজল বলেন, “আমি কোনোদিনই বলিউড বা হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অংশ হতে চাইনি। আমি অভিনেত্রী হিসাবে ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে চাইনি। আমি চিরদিন চেয়েছিলাম চাকরি করতে। এমন একটা চাকরি যেখানে প্রতি মাসে আমার অ্যাকাউন্টে একটা টাকার অঙ্ক ঢুকবে।”
কিন্তু বিধাতা অন্য কিছু লিখে রেখেছিলেন কাজলের জন্য। আচমকাই অভিনেত্রী হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ১৯৯২ সালে ‘বেখুদি’ ছবির হাত ধরে অভিনয়ে পা রাখেন কাজল। কিন্তু প্রথম ছবি ভাল চলেনি তাঁর। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আমি কোনোদিনই অভিনয়কে কেরিয়ার হিসাবে ভাবিনি। ওটা এমনিই হয়ে গিয়েছিল আর আমিও স্রোতে ভেসে গিয়েছিলাম।”
কাজল আরো জানিয়েছিলেন, ছবি বাছার সময় তিনি চিরদিনই বরাবর খুঁতখুঁতে ছিলেন। তবে অভিনয় কেরিয়ারে খুব ভাল সময় কেটেছে তাঁর। খুব ভাল ভাল বন্ধু পেয়েছেন এখানে। তবে নিজের কাজটাকে খেলা হিসাবেই দেখেন কাজল।
শেষবার নেটফ্লিক্সে ত্রিভঙ্গা ছবিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এই মুহূর্তে সালাম ভেঙ্কি ছবির শুটিং করছেন তিনি। সেই গত বছরের অক্টোবর মাসে ছবিটির ঘোষনা করা হয়েছিল। তবে ছবিটি কবে মুক্তি পাবে তা এখনো জানা যায়নি।