বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি সরকারি চাকরি পাওয়ার কারণে ঈর্ষাবশত স্ত্রীয়ের উপর আক্রমন করে তার হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। যার ওপর ভর করে বর্তমানে এলাকাসহ গোটা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। পরবর্তীতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলে প্রতিদিন একের পর এক নতুন তথ্য উঠে আসতে থাকে। সেই ধারা বজায় রেখে এদিন অভিযুক্ত শরিফুলের হয়ে আদালতের সওয়াল করতে গিয়ে এক বিচিত্র মন্তব্য করে বসলেন আইনজীবী। আইনজীবীর কথায়, “স্ত্রীকে এতটাই ভালোবাসতো তার স্বামী যে, সে তার হাত কাটার কথা কোনদিন ভাবতেই পারেনা। এটি সম্পূর্ণই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।” আইনজীবীর এহেন বক্তব্যে স্বভাবতই তাক লেগে যায় গোটা আদালত চত্বরে।
প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির পর এদিন অভিযুক্ত শরিফুলকে আদালতে তোলা হয়। প্রথমে কোনো আইনজীবী তার পক্ষে না দাঁড়ালেও শেষে লিগাল এডের এক আইনজীবী (শ্রেয়া দাস) অভিযুক্তের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে জানান, “শরিফুল ওর স্ত্রীকে প্রচন্ড ভালোবাসতো। ও এমন ঘৃণ্য কাজ করতেই পারেনা। এটা ওকে ফাঁসানোর কোন ছক।” যদিও আদালতে তাঁর এই দাবি গ্রহণযোগ্য হয় না এবং শেষ পর্যন্ত অপরাধীকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। একই সঙ্গে অভিযুক্তর বাবা এবং মাকেও পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার সরকারি চাকরি পাওয়ার কারণে স্ত্রী রেণু খাতুনের এক হাত কেটে নেয় তার নিজের স্বামী। এরপরই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মহিলাকে এবং তার স্বামী ও শশুরবাড়ির লোকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এক্ষেত্রে পূর্ব বর্ধমান-মুর্শিদাবাদ সীমান্তের হলদি গ্রাম হতে গ্রেফতার করা হয় শরিফুলকে। পরবর্তীতে এই প্রসঙ্গে মহিলা জানান, “গত শনিবার আমি বাপের বাড়িতে ছিলাম। এরপরে আমার স্বামী এসে আমাকে বাড়ি নিয়ে যায় এবং বাড়ি এসে আমি যখন ঘুমিয়ে পড়ি, তার পরেই ঘটে বিপত্তি! আমার মুখে আচমকা বালিশ চাপা দিয়ে মারার চেষ্টা করে ও। আর সেই সময় অচেনা দুই ব্যক্তি এসে আমার ওপর আক্রমণ করে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রী সরকারি চাকরি পাওয়ার পর যাতে তাকে ছেড়ে না যায়, সেই কারণেই মহিলার ওপর হামলা চালায় অভিযুক্ত স্বামী। এক্ষেত্রে প্রাণে মেরে ফেলার বদলে তাকে জখম করাই উদ্দেশ্য ছিল ওই ব্যক্তির। অপরদিকে, ঈর্ষার কারণটিও সামনে উঠে আসে। তবে প্রকৃতপক্ষে কি কারণে এই হামলা, তা জানতেই বর্তমানে অভিযুক্তকে হেফাজতে নিলো পুলিশ।