বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য উত্তাল হয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন ইসলামিক দেশ গুলি যখন ভারত বয়কটের ডাক দিয়ে চলেছে, সেই মুহূর্তে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ আর এবার লেখিকা ও সমাজসেবী তসলিমা নাসরিন এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন। ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে এর পূর্বেও একাধিক সময় মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে আর এবার অবশেষে পয়গম্বর ইস্যুতে নিজের মতপ্রকাশ করলেন তিনি।
এদিন একটি টুইট করে তসলিমা নাসরিন বলেন, “আজ পয়গম্বর মহম্মদ বেঁচে থাকলে ধর্মান্ধ মুসলিমদের আচরণ দেখে অবাক হয়ে যেতেন।” অর্থাৎ এদিন টুইট করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের আন্দোলনের সমালোচনা করেন তিনি। বর্তমানে ভারত সহ একাধিক দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে। দোকানপাট ভাঙচুর, ইট বৃষ্টি থেকে শুরু করে রাস্তায় নেমেছে মানুষেরা আর এই ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন বিশিষ্ট লেখিকা।
Even if prophet Muhammad was alive today, he would have been shocked to see the madness of the Muslim fanatics around the world.
— taslima nasreen (@taslimanasreen) June 10, 2022
বিগত দু’দিন ধরে বাংলার একাধিক প্রান্তে বিশেষত হাওড়া এবং কলকাতায় একাধিক হিংসার ঘটনা সামনে উঠে এসেছে। বিক্ষোভ, ভাঙচুর, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা এবং ইটবৃষ্টির মতো একাধিক ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে কিছু সম্প্রদায়ের মানুষ। এরমাঝেই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ময়দানে নামে বাংলার পুলিশ। ইতিমধ্যে হিংসার সঙ্গে জড়িত 70 জনকে গ্রেফতার করেছে তারা। পরবর্তী ক্ষেত্রেও যে এহেন অহিংসার ঘটনা ঘটলে তার ফল ভালো হবে না, সে বিষয়ে সচেতন করেছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা বিতর্কিত মন্তব্যের পর দেশের একাধিক প্রান্তে বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিজেপি মুখপাত্রর গ্রেফতারের দাবি করে বাংলার একাধিক প্রান্ত, কলকাতা ও হাওড়া সহ বিভিন্ন জেলায় অবরোধ শুরু হয়। দীর্ঘক্ষন বিক্ষোভের জেরে স্তব্ধ হয়ে পড়ে যাতায়াত। একাধিক গাড়ি লক্ষ্য করে আগুন, দোকানপাট ভাঙচুর চালানোর ফলে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। গতকাল এই বিক্ষোভ মাঝে অবশেষে বিভিন্ন স্থানে 144 ধারা জারি করার পাশাপাশি হাওড়া জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে প্রশাসন। তবে এর মধ্যেও হাওড়ার সলপ, ধুলাগর এবং পার্ক সার্কাসের মত এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বসে বিক্ষোভকারীরা। এছাড়াও বর্ধমান এবং অঙ্কুরহাটিতে দীর্ঘক্ষণ চলে আন্দোলন।
তবে শুধু রাস্তাঘাট নয়, এই আন্দোলনের প্রভাব পড়ে রেল মাধ্যমেও। গতকাল হাওড়া স্টেশনে বেশ কয়েক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক ট্রেন। শনিবারেও টাটানগর-হাওড়া ইস্পাত এক্সপ্রেস, পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস ও ভদ্রক হাওড়া এক্সপ্রেসের মত ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য একাধিক ট্রেনের সময়সূচী বদল করেছে ভারতীয় রেল। তবে এই বিক্ষোভ শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামবে, সেই বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নয় কেউই।