বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী-এর হাতে ফোন পড়তেই ৭ বছরের অবৈধ সম্পর্ক সামনে এলো। এক যৌনকর্মীর সঙ্গে স্বামীর সম্পর্কের কথা জানতে পেরে গেলেন স্ত্রী। তারপরেই মেজাজ হারিয়ে ফেলে স্বামীকে চূড়ান্ত মারধোর। হ্যাঁ, এমন ঘটনাজ ঘটেছে এক ইংরেজ ফুটবলার এবং তার স্ত্রীয়ের জীবনে। কিন্তু সেই ফুটবলারের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি। কিন্তু ইংল্যান্ডের ট্যাবলয়েড গুলি সরগরম এই ফুটবলারের জীবনের রসালো কাহিনী নিয়ে।
গোটা ঘটনাটি ঘটে যখন ওই ফুটবলার বাড়িতে নিজের সন্তানের সাথে ফুটবল নিয়ে সময় কাটাচ্ছিলেন। সেই সময়েই তার স্ত্রীয়ের হাতে আসে স্বামীর ফোন। স্ত্রী লক্ষ্য করেছিলেন যে কোনও অজ্ঞাত কারণে তার স্বামী কিছুতেই ফোনটি হাতছাড়া করতে চাইতেন না। ফোন হাতে নিয়েই দেখেন স্বামীর ফোনে ঢুকছে বেশ কিছু লাস্যময়ী ছবি যা পাঠাচ্ছিলেন এক অজ্ঞাত সুন্দরী মহিলা।
ব্যাপার দেখেই স্বামীকে সরাসরি জেরা আরম্ভ করেন তিনি। কিছুক্ষণ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও স্ত্রীয়ের জেরার মুখে ভেঙে পড়ে ওই যৌনকর্মীর সাথে নিজের সম্পর্কের কথা স্বীকার করতে বাধ্য হন ওই ইংল্যান্ডের ফুটবলার। নিজে ফাঁকা থাকলেই ওই যৌনকর্মী তাকে এসে সঙ্গ দিতো। বদলে তাকে ভারতীয় মুদ্রার হিসাবে ৩৪ লাখ টাকা দিয়েছিলেন ওই ফুটবলার।
এছাড়াও আরও অনেক টাকা মূল্যের গয়নাও ওই নারীকে উপহার দিয়েছিলেন ওই ফুটবলার। জানা গিয়েছে ফুটবলারটির মা অসুস্থ এবং তাকে দেখতে যাওয়ার বাহানায় মাঝেমধ্যেই ওই নারীর সাথে সাক্ষাৎ করতেন এবং অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটাতেন তিনি। সবকিছু শুনে এবং তাদের চ্যাট পড়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন ওই ফুটবলারের স্ত্রী। তারপর ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রূপেও বিষয়টি জানান তিনি। তারপর ওই ফুটবলার অনেক কাকুতি মিনতি করার পর ওই যৌনকর্মীর সাথে আর কোনওরকম যোগাযোগ না রাখার শর্তে আপাতত তাকে রেহাই দিয়েছেন তার স্ত্রী।