বাংলাহান্ট ডেস্ক: সদ্য দুদিন শুরু হয়েছে জি বাংলার সারেগামাপার (SaReGaMaPa) নতুন সিজন। বেশ কিছু নতুন বিষয় সংযোজন হয়েছে এবারে। তার মধ্যে অন্যতম মহাগুরুর আসন। এর আগে বাংলা নাচের অনুষ্ঠানে মহাগুরুর উপস্থিতি দেখা গেলেও গানের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে হয়তো এটাই প্রথম। সারেগামাপার এই সিজনে মহাগুরুর আসনে রয়েছেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী (Pandit Ajoy Chakraborty)।
প্রতিযোগীদের গান শুনে মূল্যবান মতামত দেবেন তিনি। অডিশনের প্রথম দুই পর্বে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে তিনি জানালেন প্রত্যেক পর্বে তিনি আসবেন না। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী জানালেন, বেশ কয়েক বছর ধরে আয়োজকরা তাঁকে অনুরোধ করছিলেন। কিন্তু প্রতিবারই ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তবে এবারে আয়োজরা তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, প্রথম পাঁচজন সফল প্রতিযোগীকে তিনি সঙ্গীত শিক্ষা দেবেন। রিয়েলিটি শো তে অনেক রকম ব্যাপার থাকে। অনেক সময়ে বিচারকদের মধ্যেই মতপার্থক্য হয়। আবার অনেক সময়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও ওঠে।
তবে পণ্ডিতজি জানান, চ্যানেল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, যেহেতু অন্যান্য বিচারকরা তাঁকে শ্রদ্ধা করেন, তাই তাঁদের সঙ্গে তাঁর কোনো বিরোধের সম্ভাবনা থাকবে না। আর পক্ষপাতিত্বের মতো কোনো ব্যাপার থাকলে তিনি জোর গলায় প্রতিবাদ জানাবেন বলেই মন্তব্য করেছেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।
তিনি আরো জানান, খুব বেশি যন্ত্রসঙ্গীতের ব্যবহার আছে এমন গান বাছতে বারণ করেন তিনি। কিন্তু এটা যেহেতু রিয়েলিটি শো তাই প্রতিযোগীরাও উত্তেজক গান বাছতেই বাধ্য। তবুও বিচারক হিসাবে প্রতিযোগীদের মধ্যে কিছু কিছু গুণ তিনি খুঁজে নেবেন, যার মধ্যে অন্যতম গানের অর্থ বোঝানো।
পণ্ডিতজি বলেন, গানকে অলঙ্কারসর্বস্ব করে কোনো লাভ নেই, যতক্ষণ না গানটির মানে বোঝাতে সক্ষম হচ্ছে গায়ক। তবে এই ধরনের অনুষ্ঠানে প্রকৃত সঙ্গীত সাধনার থেকে চাকচিক্যটাই বেশি হয় বলে মনে করেন তিনি নিজেও। তাই ব্যক্তিগত ভাবে এই ধরনের অনুষ্ঠান তাঁরও পছন্দ নয় বলেই জানান পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।
সম্প্রতি বাংলা ও মুম্বইয়ের শিল্পীদের বিবাদ নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। বাংলা রিয়েলিটি শোয়ের জন্য মুম্বই থেকে শিল্পীরা বিচারক হয়ে আসছেন। কিন্তু জাতীয় স্তরে কোনো অনুষ্ঠানে বাংলার শিল্পীরা ডাক পান না কেন? পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলেন, মহারাষ্ট্রের শিল্পীরা লড়াই করতে জানেন। বাংলায় ভাত ডালের প্রভাব বেশি।