বাংলাহান্ট ডেস্ক : চরম বিতর্কের মধ্যেই বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল আচার্য বিল। তবে এখনও অনেকটা কাজ রয়েছে বাকি। এই বিল চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য যাবে রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপালের অনুমোদন পেলে তবেই বিল থেকে পরিণত হবে আইনে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষাবিদ থেকে শিক্ষা জগতে চলছে মারাত্মক শোরগোল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর পক্ষে মত দিলেন ১৮৩ এবং বিপক্ষে মত প্রদান করেন ৪০। তবে এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এর আগেও সম্পূর্ন ঘটনা প্রসঙ্গে সরব হয়েছিলেন শিক্ষাবিদ মহল। আবার কেউ কেউ এমনও দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী যদি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হতে পারেন। তবে, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ক্ষেত্রে কেন নয়?
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই নিয়ে বলেন, বিজেপির সদস্যরা এই বিষয়ে আজকে অনেক বিরোধ করেছেন। ওরা আর কী কী করতে পারে, আমাদের কাছে তা খুব পরিস্কার। রাজ্যপালের অনেক কিছু করা উচিত বলেই তাঁরা জানিয়েছেন। যদি রাজ্যপাল যদি মনে করেন তবে উনি করতেই পারেন। তবে তামিলনাড়ু সরকার, গুজরাট সরকার এই বিল এনেছে। তাই আমরাও আনলাম এই বিল।
তবে এদিন বিধানসভায় এই বিলের বিপক্ষে সরব ছিলেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে কেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে আনা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে পালটা জবাব দেন শাসকদলের বিধায়করাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রয়েছেন সে বিষয়টি তুলে আনা হয়। জানা যাচ্ছে, কয়েকদিন আগেই এই বিষয়ে চিঠি দিয়ে বিরোধীতা করেন বুদ্ধিজীবি মহল। কৌশিক সেন সহ একাধিক বুদ্ধিজীবী সই করেছেন এই চিঠিতে। কিন্তু সমস্ত কিছু উপেক্ষা করেই আজ বিধানসভায় পাস হল এই বিল।
আচার্য বিল পাশের পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর অধিকারীর কাছে অভিযোগ জানান বিজেপির বিধায়করা। ঘটনা শুনে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘এই ভোটেও কারচুপি করছে তৃণমূল।’ তিনি আরও জানান এই বিল পাশ হওয়ার পর তা যাবে রাজ্যপালের কাছে। তাঁর অনুমোদন পেলে তবেই বিল যাবে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনের জন্য। শুভেন্দুবাবু মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, রাজ্যের নাম বঙ্গ করার প্রস্তাব বা বিধান পরিষদ তৈরির প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ হয়ে দিল্লিতে পড়ে রয়েছে দীর্ঘকাল। পাশ হচ্ছে না। আর হবেও না। এই আচার্য বিলেরও এই একই অবস্থা হবে বলেই জানান তিনি।