চলন্ত টোটো থেকে পড়ে যায় শিশু, প্রাণ বাজি রেখে সুপারম্যান হয়ে রক্ষা করলেন ট্রাফিক পুলিশ! ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের সমাজে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি যে কোনো বিপদেই সাহায্য মেলে তাদের। কখনও ব্যস্ত রাস্তায় যানচলাচল সঠিক রাখা আবার কখনও বা নিজের জীবনকে বাজি রেখেই অন্যের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়া, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের অবদান পরিলক্ষিত হয়। যদিও বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও মাঝে মধ্যেই তাদের এমন সব কর্মকাণ্ডের দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে আসে যা দেখে সমস্ত বিতর্কেরই কার্যত অবসান ঘটে যায়।

সেই রেশ বজায় রেখেই সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। যেখানে দেখা গিয়েছে, নিজের জীবনকে বাজি রেখেই একটি শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছেন এক ট্রাফিক পুলিশকর্মী। আর এই দৃশ্যই এখন ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই নেটমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফৰ্মগুলিতে সুযোগ পেলেই সময় কাটাতে ভালোবাসি। এছাড়াও সেখানে পাওয়া যায় বিভিন্ন সব নিত্য-নতুন ভাইরাল হওয়া ভিডিও। আর সেগুলির মধ্যে এমন কিছু ভিডিও থাকে যা দেখে রীতিমতো অবাক হতে হয় সবাইকে। এই ভিডিওটির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

   

ঠিক কি ঘটেছে?
মূলত সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ঐ ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একজন ট্রাফিক পুলিশকর্মী অত্যন্ত সতর্কতার সাথে একটি ব্যস্ত রাস্তায় সুষ্ঠুভাবে গাড়ি চলাচলে সহায়তা করছিলেন। ঠিক সেই সময়েই একটি চলন্ত টোটো থেকে হঠাৎই একটি শিশু রাস্তায় পড়ে যায়। এদিকে শিশুটি পড়ে যাওয়া মাত্রই তার দিকে ছুটে গিয়ে রাস্তায় থাকা বাকি যানবাহনগুলিকে সতর্ক করে দেন ওই ট্রাফিক পুলিশ কর্মী। এমনকি তাকে কোলে তুলে নিয়ে তার মা’র হাতে তুলে দেন তিনি।

এদিকে ঐ শিশুটি রাস্তায় পড়ে যাওয়ার মুহূর্তেই সেখানে উপস্থিত হয়ে যায় একটি বড় বাস। অর্থাৎ, যে কোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারত বিরাট বিপদ। যদিও ওই ট্রাফিক পুলিশ এবং বাসচালকের সতর্কতায় এড়ানো গিয়েছে দুর্ঘটনা। এদিকে মূলত সিসিটিভিতে রেকর্ড হওয়া এই ভিডিওটিই বর্তমানে তুমুল গতিতে ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

পাশাপাশি ইতিমধ্যেই ভিডিওটি টুইটের মাধ্যমে সামনে এনেছেন IAS অফিসার অবনীশ শরণ। এছাড়াও তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন যে, ওই ট্রাফিক পুলিশ কর্মীর নাম হল সুন্দর লাল। যিনি মুহূর্তের মধ্যে দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন ওই শিশুটিকে। এদিকে, ভিডিওটিতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দর্শকসংখ্যা এবং লাইক। ইতিমধ্যেই ১৫ লক্ষেরও বেশি জন ভিডিওটি দেখেছেন। পাশাপাশি লাইক এসেছে প্রায় ৮৩ হাজার। এছাড়াও ভিডিওটির পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা। সকলেই একবাক্যে ওই ট্রাফিক পুলিশকর্মীকে তাঁর এই মহান কাজের জন্য কুর্ণিশ জানিয়েছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর