বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভোট যুদ্ধের শঙ্খনাদ বেজে গিয়েছে ত্রিপুরায়। জুন মাসের শেষ সপ্তাহেই ত্রিপুরার ৪ আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে কোমর বাঁধছে সব শিবিরই। আজ নির্বাচনী প্রচারে ত্রিপুরা গিয়ে বিশাল জনসভা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বরদোয়ালি বিধানসভার অন্তর্গত জিবি বাজারে একটি সভাও করেন তিনি। সেই সভামঞ্চ থেকেই তিনি একসঙ্গে বাক্যবাণ ছুঁড়লেন বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘আমরা একটু অন্যরকম দল। আমাদের ধমকে চমকে কোনও লাভ হবে না।’ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বদল থেকে সিবিআই হানা একের পর এক তোপ দেগে গেলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘২০১৮, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী বদল হল না। তাহলে ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রী বদল কেন? কারণ তৃণমূল এখানে এসেছে। ভয় পেয়েছে ওরা। কিন্তু তোমার তো কাপড় ছিঁড়ে গিয়েছে, তাপ্পি দিয়ে কীভাবে চলবে? যতদিন গিয়েছে তত ভীতসন্ত্রস্ত হয়েছে বিজেপি। ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রী বদলেছে, ২০২৩ সালে সরকারটাই বদলে যাবে।’
আজ তাঁর বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়েও সরব হন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘দেখুন আজ আমি এখানে এসেছি বলে আমার স্ত্রীকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করছে। আমি যাতে এখানে আর না আসতে পারি। কিন্তু আমাদের দল অন্যরকম, ধমকে চমকে লাভ হবে না। অন্যদলের মতো আমরা চুপ করে বসে থাকব না। একদিকে পাথর ছুঁড়ছে তো অন্যদিকে সিবিআই পাঠাচ্ছে।”
অভিষেক বলেন বিজেপি শুধু মুখেই বলে, আচ্ছে দিন আসছে। কোথায় আচ্ছে দিন? বিজেপিকে ভোট মানুষ দিয়েছে বলেই রান্নার গ্যাসের দাম হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। পেট্রল-ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া। বাংলায় হেরেছে বলে দু’বার পেট্রলের দাম কমিয়েছে বিজেপি। অভিষেক মনে করেন ডবল ইঞ্জিন সরকার পুরোপুরি ভাঁওতাবাজি, দু’নম্বরই। ডবল চোরের সরকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অভিষেক আরও বলেন, ‘আগস্ট মাস থেকে তৃণমূল ত্রিপুরায় সংগঠন তৈরি করছে। আমাদের উপর বারবার হামলা হয়েছে। আমার কনভয়ের উপরেও হামলা হয়েছে। আমি আসব শুনলেই ভয় পেয়ে হামলা করে। কালও তৃণমূলের সভায় হামলা হয়েছে। কিন্তু আমরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়েও লড়াই করব। আজ এলাম, আবার ২০ তারিখ আসব।’ অভিষেকের আজকের জনসভায় ভাষণ ত্রিপুরার রাজনীতিকে উত্তপ্ত করে ফেলল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।