সাপ এবং ব্যাঙের সঙ্গে ১০৪ ঘন্টা! অবশেষে ৮০ ফুট গভীর কুয়োর থেকে উদ্ধার পেল ১১ বছরের রাহুল

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সেই প্রিন্সকে মনে পড়ে? হরিয়ানার বছর পাঁচেকের শিশু প্রিন্স ৪৮ ঘন্টা ৬০ ফুট গভীর নলকূপের গর্তে আটকে পড়ে। অবশেষে ভারতীয় সেনার এক জওয়ান উদ্ধার করে তাকে। সেই স্মৃতিই ফের উস্কে দিল ছত্তিসগড়ের ঘটনা। ১১ বছরের ছেলেটি ভাল করে কথা বলতে পারে না, কানে শুনতেও সমস্যা রয়েছে তার। খেলতে খেলতে প্রায় ৮০ ফুট গভীর একটি কুয়োর মধ্যে পড়ে গিয়েছিল সে। অবশেষে ১০৪ ঘণ্টার চেষ্টায়, ৫০০ কর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমে বাচ্চাটিকে কুয়ো থেকে তুলে আনা সম্ভব হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জঞ্জগির চম্পা জেলায়।

১১ বছরের ওই কিশোরের নাম রাহুল সাহু। গত ১০ জুন গ্রামের বাড়িতে খেলা করছিল সে। হঠাৎই বাড়ির পিছন দিকে খুঁড়ে রাখা কুয়োর কাছাকাছি চলে যায় সে। তারপর কখন যে কুয়োতে পড়ে যায় তা নাকি নিজেও বুঝতে পারেনি রাহুল।

৮০ ফুট গভীর কুয়োর ৬০ ফুটে গিয়ে আটকে ছিল সে। তাকে উদ্ধার করতে পুলিশ সেনাবাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সমবেত প্রচেষ্টা চালায়। এমনকি রাহুলকে উদ্ধার করতে তিন দিনের মাথায় রোবোটও নামানো হয় কুয়োতে। ৫০০-র বেশি কর্মী রাহুলকে কুয়ো থেকে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন পাঁচ দিন ধরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শুরু হয় উদ্ধারকাজ। অবশেষে ১৫ ফুট দীর্ঘ সুড়ঙ্গ তৈরি করে ১০৪ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার গভীর রাতে উদ্ধার করা হয় তাকে।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, কুয়োর মধ্যে একটি সাপ ছিল, আর ছিল একটি ব্যাঙও। এত নীচে অক্সিজেনের অভাবে যেমন রাহুলের প্রাণ সংশয়ের সম্ভাবনা ছিল, তেমনই সাপের কামড়ে মৃত্যুও হতে পারত তার। কোনও বাচ্চা কুয়োতে পড়ে যাওয়ার পর তাকে তুলে আনার ঘটনা নতুন নয়, তবে রাহুলের ঘটনা নজির গড়েছে। এত দীর্ঘ উদ্ধারকাজ আগে কখনও হয়নি। রাহুলকে উদ্ধারের পর স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল ট্যুইট করে বলেন, ‘আমাদের ছেলেটা দারুণ সাহসী। ১০৪ ঘণ্টা তার সঙ্গী ছিল একটি সাপ এবং একটি ব্যাঙ। আজ গোটা ছত্তীসগঢ় খুশি।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর