বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য হোক কিংবা ঠিকাদারি থেকে একশো দিনের কাজ, সর্বত্রই বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। ছোটখাটো তৃণমূল নেতারাও বর্তমানে লাখ লাখ টাকার মালিক আর সেই প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করেই শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হতে দেখা যায় বিরোধী দলগুলিকে। সম্প্রতি আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ উঠলো।
নেতার নাম কামিনী রায়। কোচবিহারের সিতাই বিধানসভার মাতালহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত কামিনীবাবু। এক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রায় হলেও এলাকাবাসীদের দাবি, প্রধানত পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজ সামলান এই তৃণমূল নেতাই। পঞ্চায়েত প্রধানের চেয়ারেও নাকি সর্বদা তাঁকে অবস্থান করতে দেখা যায়। দিনের অধিকাংশ সময় কামিনীবাবুকে ঘিরেই বসে থাকে অসংখ্য মানুষ আর সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বর্তমানে অসংখ্য অভিযোগ তুলেছে গ্রামবাসীরা।
অভিযোগের প্রধান কারণ হল তৃণমূল নেতার ‘শখের’ গাড়ি। সম্প্রতি, কুড়ি লক্ষ টাকা দিয়ে একটি ঝাঁ-চকচকে গাড়ি কিনেছেন কামিনীবাবু। শুধু তাই নয়, কলকাতাতেও কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে তৃণমূল নেতার, এহেন অভিযোগ তুলেছে দলের একাংশ। ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, স্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধান হলেও স্বামীর এত টাকা আসে কি করে?
তবে যার বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ, নিজেকে পঞ্চায়েত প্রধান বলে দাবি করা সেই কামিনীবাবু বলেন, “আমাদের এখানে পঞ্চায়েত প্রধানের সিট মহিলার জন্য সংরক্ষিত রয়েছে, সেই কারণেই আমি দাঁড়াতে পারিনি। তাছাড়া লোকে আমার বিরুদ্ধে অনেক রকম কথা বলে, লোকের কথায় কি যায় আসে বলুন। শখের বশে একটি গাড়ি কিনেছি, তাও আবার মাসে মাসে 27 হাজার টাকা করে কিস্তি দিতে হয়।”
তবে কলকাতায় সম্পত্তি এবং গাড়ি-বাড়ি প্রসঙ্গে সমস্ত অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, “আমি রেশন ডিলারের কাজ করি। এছাড়াও বাবার বেশ কিছু সম্পত্তি ছিল, সবমিলিয়ে আমার দিব্যি চলে যায়। তবে আমি জানি যে, এলাকার মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে যারা আমার নামে গুজব ছড়ায়। তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন তাহলে করুন, নাহলে আমি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।”