বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষা সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে বিতর্কের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। প্রতিদিন একের পর এক নতুন তথ্য উঠে আসছে। এর মাঝেই সম্প্রতি 269 জন প্রাথমিক শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এর পরেই এক অবাক করা কাণ্ড ঘটে যায় কোচবিহার নিশিগঞ্জ এলাকায়, যেখানে চাকরি যাওয়ার ফলে মহিলা শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তার ‘বয়ফ্রেন্ড’। দীর্ঘ ছয় মাসের সম্পর্ক এক মুহুর্তে ভেঙে দেয় পেশায় ‘কলেজের অধ্যাপক’ এক যুবক।
তবে এতে দমে থাকেনি সেই যুবতী এবং পরবর্তীকালে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে সে। তার একটাই দাবি, ‘পুরনো সম্পর্ক মেনে নিয়ে তাকে বিয়ে করতে হবে।’ সূত্রের খবর, গতকাল এলাকায় প্রবল ঝড় বৃষ্টি সত্ত্বেও নিজের জায়গা থেকে এতটুকু সরেনি যুবতী এবং এরপরেই অবশেষে সফল হয় ‘বরখাস্ত’ মহিলা শিক্ষিকার ধর্না। জানা গিয়েছে, মহিলাটির ধর্নার ফলে তার প্রতি মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারেনি যুবক এবং তার পরিবার। অবশেষে তাদের বিয়ে হতে চলেছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, আজ ওই মহিলা শিক্ষক এবং যুবকের রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা। যদিও এই প্রসঙ্গে যুবকটির পরিবারের তরফ থেকে কিছুই জানানো হয়নি, তবে ধর্না চলাকালীন মহিলাটিকে বাড়ির ভেতরে ডেকে নেওয়ার পরেই বিয়ের সিদ্ধান্তে এক প্রকার সিলমোহর পড়ে যায় বলে মত এলাকাবাসীদের।
যদিও গতকাল পর্যন্ত যুবক এবং তার পরিবারের দাবি ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। গতকাল যুবক জানায়, “আমার সঙ্গে ধর্নায় বসে থাকা যুবতীর কোন রকম সম্পর্ক অতীতে ছিল না। ওর কাছে আমার সঙ্গে ফোনে কিংবা মেসেজে কথা বলার কোনো রকম প্রমাণ থাকবেই না। এক ঘটকের দ্বারা আমাদের মধ্যে পরিচয় হয় এবং ওদের বাড়ি থেকে দেখাশোনার জন্য আসে। কিন্তু আমি কখনোই ওই মেয়েটিকে দেখিনি। ফলে চাকরির জন্য সম্পর্ক ভাঙার যে কথা উঠছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।” তবে একদিনের মধ্যে কি এমন হল যে যুবকের পরিবার তাদের দাবি থেকে সরে এলো, তা এখনো স্পষ্ট হয়নি।