বাংলাহান্ট ডেস্ক: সাউথ (South Film Industry) বনাম বলিউডের (Bollywood) দ্বন্দ্বটা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। দীর্ঘদিন ধরে ধামাচাপা পড়েছিল দক্ষিণের প্রতিভা। চলত বলিউডের রমরমা। হিন্দি ইন্ডাস্ট্রি বরাবর উপেক্ষার নজরেই দেখেছে দক্ষিণকে। এখন সুযোগ পেয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না দক্ষিণী তারকারা। এবার হিন্দি বনাম দক্ষিণ বিতর্কে মুখ খুললেন পরিচালক প্রযোজক করন জোহর (Karan Johar)।
গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ধ্বজা ধরে রয়েছে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। বলিউড এঁটে ওঠার হাজার রকম চেষ্টা করেও কিছুই করে উঠতে পারছে না। উলটে বাড়ছে দক্ষিণের সঙ্গে বলিউডের রেষারেষি। বলিউড কি হেরে যাচ্ছে? করন জোহরের মতে, বলিউডি ছবি দর্শকদের বিশ্বাস অর্জন করতে পারছে না।
হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির পরিচালক প্রযোজক বলেন, দর্শকরা ঝাঁকের কই এর মতো। যেখানে বেশি মানুষ সেখানেই বাকিরা গিয়ে ভিড় করে। আর এর জন্যই বলিউড মার খাচ্ছে। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি নিজেদের স্টাইল নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। তাই ওদের অত রমরমা হয়েছে এখন। এখানেই বলিউডের সঙ্গে পার্থক্য বলে মন্তব্য করেন করন জোহর।
তিনি আরো বলেন, তামিল এবং মালয়ালম ছবির কাহিনি বরাবরই মূল আকর্ষণ হয়ে থেকেছে। পাশাপাশি ছবিগুলি অনেক বেশি বিজ্ঞাপনী। আর কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এখন দর্শকদের বিশ্বাসটা জিতে নিয়েছে। কেজিএফ সেটার সবথেকে বড় উদাহরণ।
করনের স্পষ্ট কথা, দক্ষিণের ছবিতে যুক্তি থাকুক না থাকুক, সমালোচকরা কী বলছে না বলছে সেসব কানেই তোলেন না তারা। নিজেদের ছবি নিয়ে নির্মাতারা ততটাই আত্মবিশ্বাসী। বলিউডের সেই বিশ্বাসটা নেই বলেই মত করনের।
তাঁর কথায়, “এখন যদি বায়োপিক ভাল চলতে শুরু করে সবাই বায়োপিক বানাতে বসে যাবে। এখন হঠাৎ করে দক্ষিণের সাফল্য দেখে সবাই ওই ধরণের ছবি বানাতে চাইছে। নিজেদের প্রতি কোনো বিশ্বাসই নেই আমাদের।”