বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় বিগত কয়েক সপ্তাহে বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী এবং তাঁর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর নাম বঙ্গ রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কারনে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অপর এক চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকার এবং এরপরেই হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলাকালীন অঙ্কিতা অধিকারীকে স্কুল শিক্ষিকার পদ থেকে বরখাস্ত করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজনৈতিক মহল। শুধু তাই নয়, চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরে সেখান থেকে যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছিলেন অঙ্কিতা, তার পুরোটাই ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, বর্তমানে প্রথম কিস্তি হিসেবে 8 লক্ষ টাকার কাছাকাছি ইতিমধ্যেই ফেরত দিয়েছেন মন্ত্রীকন্যা। এখনো অবশ্য দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ফেরত বাকি রয়েছে।
গত 20 ই মে চাকরি হতে হয় অঙ্কিতা অধিকারীকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দ্বারা সকল বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তাঁকে দুটি কিস্তির সময়সীমা দেন বিচারপতি আর সেই নির্দেশ অনুযায়ী, প্রথম কিস্তির টাকা হিসেবে 7 লক্ষ 94 হাজারের বেশি টাকা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা করলেন ইন্দিরা গার্লস হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা অঙ্কিতা।
প্রসঙ্গত, বাবা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হওয়ার কারণে বেআইনিভাবে মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠতে থাকে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অপর এক চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকার। বলে রাখা ভালো, মামলাকারিণীর নাম এসএসসির তালিকায় থাকলেও তাঁকে বাদ দিয়ে তার চেয়ে কম নম্বর থাকা অঙ্কিতাকে সুযোগ দেওয়া হয়, এই কারণে পরবর্তীকালে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ববিতা। এর পরেই সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট দ্বারা চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় মন্ত্রীকন্যাকে।
এক্ষেত্রে মামলাটি সিবিআইয়ের তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে মন্ত্রী এবং তার মেয়ে সহ ববিতা সরকারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। ভবিষ্যতে এই মামলায় নতুন কি তথ্য উঠে আসে, আপাতত সেদিকে তাকিয়ে সকলে।