‘কাটমানিখোর তৃনমূল নেতাদের গলায় হাত ঢুকিয়ে টাকা বের করে আনব।’, বালুরঘাট থেকে বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বঙ্গ বিজেপির দিলীপ ঘোষের জায়গা নিয়েছেন তিনি। তবে দিলীপবাবু যেমন সূর্য ওঠার আগে থেকেই ইকোপার্কে প্রাতভ্রমনে বাড়িয়ে বিরোধীদের উপর বাক্যবাণ ছুঁড়তেন, ইনি তেমন নন। একটু যেন আলাদা ধাঁচের তিনি। সুকান্ত মজুমদার। বঙ্গ বিজেপির ব্যাটন তাঁরই হাতে। সেই আপাত শান্ত স্বভাবের সুকান্তবাবুই গতকাল তোপ দাগলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বঞ্চিতদের টাকা ফেরত দিতে, কাটমানি খোরদের তালিকা তৈরি করছে বিজেপি। সোমবার বালুরঘাটের জনসভা থেকে এমনই জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উঠে আসছে একের পর এক বেনিয়মের খতিয়ান। একাধিক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরই পাল্টা জবাব এদিন বালুরঘাটের জনসভা থেকে দিলেন সুকান্তবাবু। বিজেপি কর্মীদের আদেশ দিলেন, যাঁরা চাকরি দেওয়ার নাম করে গরীব মানুষের টাকা খেয়েছে, তাঁদের গলায় হাত ঢুকিয়ে সেই টাকা যেন বের করে আনা হয়। তিনি বলেন, ‘চাকরি দেওয়ার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা লক্ষ লক্ষ টাকা খেয়েছেন। যারা কাটমানি দিয়েছেন বিজেপির অফিসে এসে যেন সেই নেতাদের নাম দিয়ে যান। আমরা সেই নেতাদের গলার ভেতর হাত ঢুকিয়ে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আপনাদের সেই টাকা ফেরত দেব।’

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের ভাঁওতাবাজি নিয়েও তৃণমূল সরকারকে বেঁধেন সুকান্ত। এদিন বালুরঘাটে জেলা মিউজিয়ামের জনসভা থেকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূল সরকার বাংলায় ‘আয়ুষ্মান ভারত’ চালু করতে দেয়নি। ওরা বলে রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প রয়েছে। প্রথম দিকে কিছু মানুষ চিকিৎসাও পেতেন। এখন আর কোনও পরিষেবা। স্বাস্থ্যসাথী এখন ব্যর্থসাথী। কোনও হাসপাতালে গেলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেবে না। সরাসরি বেড নেই বলে কাটিয়ে দেবে।’

একশো দিনের দুর্নীতি নিয়েও রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন সুকান্ত মজুমদার৷ তিনি বলেন, ‘এই সরকার একশো দিনের সব টাকা খেয়ে ফেলছে। অথচ কেন্দ্রে গিয়ে টাকা চাই, টাকা চাই করে ভিক্ষা করে। আমি পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে বলেছি, টাকার হিসেব না দিলে একটা টাকাও দেবেন না। উত্তর দিনাজপুরের ২২ লক্ষ টাকার গাছ নাকি গরু-ছাগলে খেয়ে নিয়েছে।

তাই যদি হত, তবে ওই ছাগল এতদিন আস্ত হাতি হয়ে যেত। আসলে ওই টাকা তৃণমূলের ছাগল নেতারাই খেয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সেহগল হোসেনের কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তি হদিস মিলেছে। একজন কনস্টেবলের চাকরি করে এত টাকা রোজগার করে কোথা থেকে? তৃণমূলের সব নেতাগুলোই জেলে ঢুকবে, কেউ ছাড় দেওয়া হবে না।’ সুকান্ত মজুমদারের এই বিস্ফোরক বক্তৃতার পর এখনি পর্যন্ত তৃণমূলের তরফ থেকে কোনও পাল্টা জবাব আসেনি।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর